নয়াদিল্লি: জার্মানির (Germany) বিদেশ মন্ত্রকের (Foreign Ministry) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি (fundamental democratic principles) রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা উচিত। একটি মানহানি (Defamation) মামলায় সাজা হওয়ার পর রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ (Loksabha Membership) খারিজ করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে জার্মানি বলেছে, আমরা রায় দেখেছি। বিরোধী রাজনীতিক রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদ খারিজের বিষয়টি দেখেছি। আমরা যা জানি রাহুল গান্ধী ওই রায় নিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারবে। তখনই এটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই রায় বহাল থাকবে কি না, তাঁর সাংসদ পদ খারিজের কোনও ভিত্তি রয়েছে কি না। আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, বিচারবিভাগীয় স্বাধীনতা ও মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি প্রয়োগ হবে এই ঘটনায়।
এই সপ্তাহের শুরুতে আমেরিকা (US) জানিয়েছে, তাঁরা রাহুল গান্ধীর ঘটনা লক্ষ্য রাখছে। তাঁরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর গত সপ্তাহে সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। মোদি পদবি সংক্রান্ত মন্তব্যের জেরে ফৌজদারি মানহানি মামলায় দুবছরের সাজা হয় তাঁর। তার জেরেই সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। তিনি কেরলের ওয়েনাডের (Wayanad)সাংসদ। কর্ণাটকে (Karnataka) একটি নির্বাচনী প্রচারে ২০১৯ সালের একটি মন্তব্যের জেরে তাঁর দুবছরের কারাবাস হয়েছে। রাহুল গান্ধী মোদি পদবি সংক্রান্ত মন্তব্য করেছিলেন। কর্ণাটকের কোলারে এই মন্তব্য করেছিলেন তিনি। মানহানি ফৌজদারি মামলা তাঁর বিরুদ্ধে করেছিলেন সুরাত পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি।
রাহুল গান্ধীর এই সদস্যপদ খারিজ হওয়ার ঘটনায় বিরোধী দলগুলির (Opposition) সহানুভূতি পেয়েছেন রাহুল গান্ধী। তাঁরা কার্যত এক ছাতার তলায় এসেছে এই ঘটনায়। তৃণমূল কংগ্রেস সম্প্রতি দূরত্ব রেখে চলছিল কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে। এই ইস্যুতে তাঁরাও কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, অগণতান্ত্রিকভাবে রাজনৈতিক প্রভাবে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। বিরোধী দলগুলি এই নিয়ে বৈঠকও করেছে। সম্প্রতি রাহল গান্ধী মন্তব্য করেছিলেন তিনি সাভারকর নয়। তিনি গান্ধী। গান্ধীরা ক্ষমা চায় না। এই ঘটনার পর মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা অসন্তোষ প্রকাশ করে। যার জেরে জোট নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। তবে পরে তাঁদের মধ্যে সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে বার্তা দিয়েছে শিবসেনা ও কংগ্রেস উভয়েই।