কলকাতা: রবীন্দ্রজয়ন্তীতে (Rabindra Jayanti) জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে (Jorasanko Thakurbari) এসে কবিপ্রণাম কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah)। সেখানে রবীন্দ্র মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সফরকে লোকসভা ভোটের (General Elections 2024) আগে রাজনৈতিক চরিতার্থে কাজে না লাগানোর পরামর্শ ফিরহাদ হাকিমের। ফিরহাদ বলেন, অমিত শাহ বাংলায় এসেছেন ভালো কথা, কিন্তু শুধু কবিপ্রণাম করলে হবে না। রবীন্দ্র চিন্তা-ভাবনাকে জীবনের আদর্শ করতে হবে। সবাইকে সমানভাবে দেখতে হবে।
মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim ) দেবাশিস কুমার সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্ব। রবীন্দ্রজয়ন্তীতে অমিত শাহের বঙ্গ সফরকে খুব একটা ভালো চোখে দেখছে না তৃণমূল। শাহের সফরকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে বাঙালির ভাবাবেগকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি (BJP)। বাঙালিদের মন পেতেই এই সফর। কিন্তু মন পাবে না বিজেপি। রবীন্দ্রনাথকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। তিনি আরও বলেন, কবিকে প্রণাম করলে হবে না। তাঁকে মন থেকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। তাঁর আর্দশকে বুঝতে হবে। রবীন্দ্রনাথ (Rabindranath Tagore) সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার কথা বলতেন। আর এঁরা বিভাজনের রাজনীতি করেন।
এদিন বেলা ১১টা নাগাদ অমিত শাহ, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, নিশীথ প্রামাণিক-সহ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে যান। দিনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই শাহের সাজপোশাকে ছিল বাঙালিয়ানার ছোঁয়া। পরনে ছিল পাজামা-পাঞ্জাবি, সঙ্গে ছিল বাটিক ও কাথাঁ স্টিচের কাজ করা জ্যাকেট। সেখানে রবীন্দ্র মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। ঘুরে দেখেন ঠাকুরবাড়ি। যে ঘরে কবি থাকতেন, তাঁর ব্যবহার করা জিনিস ঘুরে দেখেন। ভিজিটর্স বুকে তিনি সইও করেন, সঙ্গে নিজের বক্তব্য লেখেন। এরপর তিনি জোড়াসাঁকো থেকে বেরিয়ে যান। বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্তের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে বিএসএফের সঙ্গে জরুরি বৈঠক রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর।