নৈহাটি: বিজেপি (BJP)-তৃণমুল (TMC) সংঘর্ষে উত্তপ্ত নৈহাটি ?(Naihati)। দুই দলের সংঘর্ষে পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে। চলে ভাঙচুরও। পুলিশ (Police) দুটি গাড়ি (Car) আটক করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। বুধবার রাতের ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বেলায়ও এলাকায় উত্তেজনা ছিল।
বুধবার রাতে স্থানীয় বিজেপি নেত্রী শম্পা সরকারের স্বা্মী সৌমেন সরকারকে পুর চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে অভিজিৎ মারধর করেন বলে অভিযোগ। বিজেপি নেত্রী জানান, অভিজিৎ দলবল নিয়ে তাঁর স্বামীর উপর চড়াও হন। অভিজিতের হাতে ১৪টি সেলাই পড়েছে। তাঁকে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের অভিযোগ, সৌমেন এবং তাঁর অনুগামীরা অভিজিতের উপর হামলা করে। বৃহস্পতিবার পুলিশ অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছে। এদিন তাঁকে আদালতেও তোলা হয়।
আরও পড়ুন: TMC MPs Parliament protest | মুখে কালো কাপড় বেঁধে অভিনব প্রতিবাদ তৃণমূল সাংসদদের
ওর মোটরবাইকও কেড়ে নেওয়া হয়। বুধবার রাতের ওই ঘটনায় দুই নেতার অনুগামীরাও সংঘর্ষে জরিয়ে পড়েন। তাতেই দুপক্ষের পাঁচজন জখম হয়। তৃণমূল সূত্রের খবর, অভিজিৎ স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
দুপক্ষই নৈহাটি থানা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। স্থানীয় বিজেপি নেতার বলেন, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে বিরোধীদের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করতেই এই হামলা চলছে। তৃণমূল যুব নেতা অভিজিৎ জানান, তাঁকে দেখলেই বিজেপি সমর্থকরা গালি্গালাজ করত। এত দিন তিনি উপেক্ষায় করে গিয়েছেন। কিন্তু বুধবার রাতে বিষয়টি বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছয়। তৃণমূল সমর্থকরা বাধা দিলে বিজেপির লোকজন হামলা চালায়। সৌমেনের আক্রান্ত হওয়ার পিছনে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই বলে অভিজিতের দাবি।
নৈহাটি, জগদ্দল, ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়া প্রভৃতি এলাকা ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকেই তপ্ত হয়ে ছিল। অর্জুন সিং ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির টিকিতে জেতার পর থেকেই ওই সবো এলাকায় বিজেপি এবং তৃণমুলের মধ্যে সংঘর্ষ, মারামারি, বোমাবাজি প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অর্জুন সিং বিজেপি ছেড়ে তৃণমুলে যোগ দেওয়ায় দু’দলের মধ্যে লাগাতার গোলমালে ছেদ পরে। তবে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে ছেদ পড়েনি। গত কয়েক মাসে ভাটপাড়া, জগদ্দল, নৈহাটি একাধিক জায়গায় যেমন বোমাবাজি হয়েছে, তেমনই বোমা উদ্ধারেরও ঘটনা ঘটেছে। এবার পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, ততই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা বাড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।