কলকাতা: ডিএ-র (DA) দাবিতে চলতে থাকা সরকারি কর্মচারীদের (Government Employee) অনশন প্রত্যাহারের আবেদন করলেন রাজ্যপাল (Govorner) সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose )। শনিবার রাতে এ নিয়ে টুইট করেন তিনি। টুইটে লেখেন, সরকারি কর্মীদের অনশন চতুর্থ সপ্তাহে প্রবেশ করল। এটা আমার কাছে খুবই বেদনার বিষয়। কোনও সমস্যা জটিল হতে পারে। কিন্তু সব সময় তার সমাধানের সহজ উপায়ও থাকে।যাঁরা একটি বিশেষ কারণে অনশন করে চলেছেন, আমার সেই ভাইদের জীবনও খুব মূল্যবান। রাজ্যপাল অবিলম্বে আন্দোলনকারীদের অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন করেছেন।
ডিএর দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ প্রায় একমাস ধরে শহীদ মিনার ময়দানের ধারে অনশন করে চলেছে। গত শুক্রবার ৫৫টি সরকারি কর্মী সংগঠনের এই যৌথ মঞ্চ সরকারি দফতরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। পাল্টা ধর্মঘট রুখতে কড়া অবস্থান নিয়েছিল রাজ্য সরকারও। রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, সরকারি কর্মচারীদের শুক্রবার কাজে যোগ দিতেই হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবাইকে সঠিক সময়ে পৌঁছতে হবে। যদি যথার্থ কারণ ছাড়া কেউ কাজে যোগ না দেন তাহলে একদিনের বেতন কাটা যাবে। আর কর্মজীবন থেকেও ছেদ হবে একদিন। সেই দিনও ডিএ আন্দোলনকারীদের কাছে অনশন তোলার আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। শনিবার একই বিষয়ে আবার টুইট করা হল রাজভবন থেকে।
উল্লেখ্য,বাজেটের পর ফের ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ৩৮ শতাংশের বদলে এবার ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরদের থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ডিএর দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। বকেয়া ডিএর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী সংগঠনগুলি আন্দোলন করে আসছে। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। ১৫ মার্চ ডিএ মামলার রায় বেরনোর কথা।
এরই মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি বিধানসভায় বলে দিয়েছেন, আমরা ১০৫ শতাংশ ডিএ দিয়ে দিয়েছি। আর দেওয়া সম্ভব নয়। আর কত চান নন্দলালরা। আমি আর পারব না। আমার মুণ্ডু কেটে নিলেও ডিএ দিতে পারব না। তবে তিনি কিন্তু একবারও অনশন তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেননি।