কলকাতা: রামনবমীর মিছিল ঘিরে তীব্র অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে রিষড়ায়। এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছে শাসকদল তৃণমূল (TMC) এবং প্রধান বিরোধী দল বিজেপির (BJP) মধ্যে। সেই তরজায় জড়িয়ে পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও (CV Ananda Bose)। মঙ্গলবার কলকাতা টিভির মুখোমুখি হয়েছিলেন মাননীয় রাজ্যপাল (Governor)। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে অনেক কথাই বললেন তিনি।
আনন্দ বোস বলেন, এই ধরনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক, হওয়া উচিত ছিল না। বাংলার মানুষের শান্তিতে বাস করার অধিকার আছে। সেই অধিকার নষ্ট করা হয়েছে। তবে আমি শিক্ষা নিয়েছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে যথেষ্ট হয়েছে। আমাদের এর শেষ দেখতে হবে সক্রিয়তার সঙ্গে এবং অপরাধীদের জায়গা হবে জেলের ভিতর। মানুষ শান্তি এবং সম্প্রীতিতে (Peace and Harmony) বসবাস করতে পারবে। সেটা করা হবে। বাংলা তার শান্তিপ্রিয় এবং সংস্কৃতিবান রাজ্যের অবস্থায় ফিরে আসবে।
এই ঘটনায় রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে তাঁর কী মত?
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari | C V Ananda Bose | শুভেন্দুর তোপের বিরুদ্ধে ‘গান্ধীগিরি’র আনন্দ-বাণী
এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল বললেন, ভারত (India) যুক্তরাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সমন্বয় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সেটাই নিশ্চিত করতে হবে। আমরা একসঙ্গে এই ইস্যুর মুখোমুখি হব, একসঙ্গে এর সমাধান করব। কারণ প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) স্বপ্নের আত্মনির্ভর ভারতের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আত্মনির্ভর বাংলাও গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করব আমরা।
এই ঘটনায় রাজ্যপালের ভূমিকা আরও স্পষ্ট এবং দ্রুত হওয়া উচিত এমন দাবি করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এ নিয়ে তিনি বললেন, মতপার্থক্য, উপলব্ধির পার্থক্য গণতন্ত্রের পরিচায়ক। আমি আমার পথে আমার যা করার তা চেষ্টা করছি। একজন বিনীত মানুষ হিসেবে চেষ্টা করে আব যাতে সংবিধানের (Constitution) মর্যাদা রক্ষা হয় এবং বাংলার মানুষ ভালো করে বাঁচে, তাদের কল্যাণ হয়। তাদের কাছে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কারণ আমি খুব সাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে এসেছি। আমি সাধারণ মানুষ এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকি। আমি অসাধারণ কিছু করতে পারব না। তবে আমি যেটা পারি তা করব এবং আমার সেরাটা দেব।