নতুন বছরের মুখে পর্যটকদের কাছে বিলক্ষণ সুখবর। দেশের তেত্রিশতম হস্তী সংরক্ষণ (Elephant Reserve) কেন্দ্র চালু হল উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh)। যোগীরাজ্যেও এটি দ্বিতীয় হস্তী সংরক্ষণ কেন্দ্র বলে বন দফতর (Forest Department) সূত্রে জানা গিয়েছে। সে রাজ্যে ৩০৭২ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় মোট চারটি জেলাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে ওই হস্তী সংরক্ষণ কেন্দ্র। লখিমপুর খেরি, বাহরিচ, পিলভিট আর শাহজাহানপুর জেলার অংশ আছে ওই কেন্দ্রে।
কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব টুইট (Tweet) করে এই খবর জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে (Yogi Adityanath) অভিনন্দন। সে রাজ্যে প্রথম যে হস্তী সংরক্ষণ কেন্দ্র চালু হয়েছিল সেই শিবালিক হস্তী সংরক্ষণ কেন্দ্রের তুলনায় চার গুন বড় এই নতুন কেন্দ্র। ওই চারটি জেলার অংশ ছাড়াও দুধোয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণ (Tiger Reserve) আর পিলভিট ব্যাঘ্র সংরক্ষণের অংশও ওই হস্তী সংরক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ছে।
নতুন ওই সংরক্ষণ কেন্দ্র চালু হলে অনেকটাই সুবিধা হবে বন দফতরের। জানিয়েছেন দুধোয়া ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের ডিরেক্টর (Director) সঞ্জয় পট্টনায়ক। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তাঁর প্রতিক্রিয়া, প্রোজেক্ট এলিফ্যান্ট-এর (Project Elephant)মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ পেতে পারে ওই হস্তী সংরক্ষণ কেন্দ্র। পাশাপাশি বছরের নানা সময়ে চাষের যে ক্ষয়ক্ষতি হয় তার জন্য ক্ষতিপূরণও পাবেন কৃষকরা।
আর দুধোয়া এবং পিলভিট ব্যাঘ্র সংরক্ষণের জমি ইতিমধ্যেই নেওয়া আছে। যার ফলে নতুন করে আর জমি অধিগ্রহণের মত সমস্যায় পড়তে হবে না। বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, তরাই অঞ্চলের ওই হাতিগুলি ভারত আর নেপালের (Nepal) মধ্যে যাতায়াত করার ফলে তাঁদের সঠিক সংখ্যা অনেক সময়ে পাওয়া যেত না। কিন্তু ২০২০ সালের সুমারির (Census)সময়ে দেখা যায় ওই অঞ্চলে হাতির সংখ্যা ১৪৯ থেকে বেড়ে ১৭৫ হয়েছে। এরপরেই বন বিভাগের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে হস্তী সংরক্ষণ কেন্দ্রটি চালু করা হবে বছর দুয়েকের মধ্যে। সেই সিদ্ধান্তই বাস্তবায়িত হল।