দক্ষিণ কোয়িয়ায় (South Korea) ‘হ্যালোউইন’ (Halloween Festival) উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী সিওলে (Seoul) অনুষ্ঠিত ওই উৎসবে শামিল হয়েছিলেন তরুণ-তরুণীরা। একটি শুরু গলিপথ দিয়ে মিছিল করে ঢুকতে গেলে হুড়োহুড়িতে এই ঘটনা ঘটে। প্রায় শ দেড়েক মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এ যাবৎকালের মধ্যে এত বড় দুর্ঘটনা দেশ ঘটেনি। দেশের প্রেসিডেন্ট য়ুন সুক ইয়োল (President Yoon Suk-yeol) এক বিবৃতিতে জখমদের দ্রুত চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন। কী করে এমন ঘটনা ঘটল তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
সিওলের এক দমকল আধিকারিক জানিয়েছেন, অগুনতি মানুষ জখম হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই গুরুতর। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
দুর্ঘটনা ঘটল কীভাবে?
শহরের হ্যামিলটন হোটেলের সামনে একটি সংকীর্ণ গলিপথে হাজারো জনতা শামিল হয়েছিল উৎসবে যোগ দিতে। কোভিড বিধির পর এটাই ছিল প্রথম হ্যালোউইন। শনিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রথম দুর্ঘটনার খবর মেলে।
আরও পড়ুন: Vande Bharat Express: ফের দুর্ঘটনা, চলতি মাসে তিনবার বিপত্তি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১০ হাজার মানুষ এসেছিলেন সেখানে। মৃতদের মধ্যে অধিকাংশেরই বয়স ২০-র মধ্যে। আরও জানা গিয়েছে, এক সেলেব্রিটি সেখানে আসার পরই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। মাত্র ৪ মিটার রাস্তায় হাজার হাজার লোক জড়ো হওয়ার ফলেই এতবড় দুর্ঘটনা ঘটে বলে অনেকে মনে করছেন।
শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছলেও উদ্ধারকাজে বেগ পেতে হয়। পুলিশ মাইকে মানুষজনকে সরে গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স যাওয়ার রাস্তা করে দেওয়ার অনুরোধ জানাতে থাকে। এত বড় কাণ্ড ঘটে যাওয়ার পরও হুল্লোড় তখনও থামেনি। বিকট শব্দে গান-বাজনা বাজিয়ে তখনও নাচতে থাকে উপস্থিত জনতা। যার ফলে অ্যাম্বুল্যান্স ঢোকার রাস্তাও বন্ধ হয়ে ছিল।