কলকাতা: কম্বল বিতরণ-কাণ্ডে বিজেপি নেতা (BJP Leader) জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) জামিন মামলার শুনানি আরও এক সপ্তাহ পিছিয়ে গেল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে জামিনের আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিলেন জিতেন্দ্র। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল।
কম্বল বিতরণ-কাণ্ডে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল বিজেপি নেতা তথা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। আপাতত কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন বিজেপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal | নববর্ষেও তিহার জেলই ঠিকানা থাকবে অনুব্রতর
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী, পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি৷ ওই অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিতি ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি চলে যাওয়ার পরই কম্বল বিলির ঘোষণায় উপস্থিত জনতার মধ্যে হুড়োহুড়ি ও বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।সেই সময় পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়৷ সেই ঘটনাতেই এক মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম ছিল জিতেন্দ্র এবং তাঁর স্ত্রীর৷
এর আগে গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন বিজেপি নেতা৷ যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল আদালত৷ এর পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷ শীর্ষ আদালতে জামিন মামলার শুনানির আগেই জিতেন্দ্রকে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেফতার করে আসানসোল দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। স্ত্রীর সামনেই গ্রেফতার করা হয় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্রকে।
বিজেপির অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তৃণমূল সরকার জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে। আসানসোলের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন, পদপিষ্ট হওয়ার বিষয়টি একান্তই দুর্ঘটনা। এর দায় কোনও ব্যক্তি বিশেষের নয়। দলের আর এক রাজ্য নেতা রাহুল সিনহা বলেন, আসানসোলের জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলকে মোকাবিলা করার ক্ষমতা রাখেন। তাই তাঁকে জব্দ করতেই রাজ্য সরকার এই পন্থা নিয়েছে।
এর আগে আদালতে হাজিরা দিতে এসেও জিতেন্দ্র দাবি করেছিলেন, তিনি রাজ্য সরকারের ষড়ষন্ত্রের শিকার। আসানসোলের বুকে বিজেপিকে জব্দ করার জন্যই সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে হেনস্থা করছে।