সিমলা: একদল তাকিয়ে আছে ‘উন্নয়নের’ সাঁকোয় পা রেখে পার্বত্য রাজ্য হিমাচল (Himachal Pradesh) দখল করা। আর অন্য দলের ভরসা হচ্ছে, চার দশকের ইতিহাসে ভর দিয়ে সরকার-বিরোধী ভোট আঁকড়ে ক্ষমতায় আসা। কাল, শনিবার ভোটগ্রহণ পর্ব শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে এটাই হল হিমাচল প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2022) রাজনৈতিক নির্যাস।
হিমাচলের ৬৮টি আসনে ৪১২ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে আর কয়েক ঘণ্টার পরেই। প্রায় ৫৫ লক্ষ ভোটার তাঁদের মতপ্রকাশ করবেন। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংয়ের ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং এবং প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সৎপাল সিং সট্টি।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar: বিরোধিতার স্বর বিজেপির মধ্যেই, তারা গোকুলে বাড়ছে
এই ভোটে বিজেপির তাস অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের অস্ত্র পুরনো পেনশন প্রকল্প ফিরিয়ে আনা। গত ২ বছর ধরে যে কোনও ভোটে বিপর্যয়ের পর এই নির্বাচনও শতাব্দী প্রাচীন দলের কাছে এক অগ্নিপরীক্ষা। মল্লিকার্জুন খাড়্গে দলের সভাপতি হওয়ার পর এই প্রথম তাঁর নেতৃত্বে কংগ্রেস কোনও বিধানসভা ভোটে লড়ছে। রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অবশ্য কোমর বেঁধে প্রচারে করেছেন। ওদিকে, হিমাচল ধরে রাখতে বিজেপির প্রচার তূণে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দলের সভাপতি জে পি নাড্ডা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রমুখ।
স্বাভাবিকভাবেই ভোটের আগের দিন শুক্রবার দুই দলই জেতার ব্যাপারে নিশ্চিত দাবি জানিয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি ছাড়াও ক্ষমতায় এলে বিজেপি ৮ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিলে ছাড় ঘোষণা করেছে বিজেপি সভাপতি নাড্ডার পিতৃভূমি হিমাচলে।