জাঙ্গিপাড়া: জাঙ্গিপাড়ায় নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার জানান, ধর্ষণে বাধা দেওয়াতেই নাবালিকাকে খুন করা হয়। পুলিশের দাবি, নাবালিকার এক দূর সম্পর্কের আত্মীয় যে নিজেও নাবালক তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নাবালিকার।
পুলিশ জানিয়েছে, দশমীর রাতে ওই নাবালকের ডাকেই শ্রীহট্টতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা। সাইকেল চালিয়ে ডাকাতিয়া খালের পাশ দিয়ে শ্রীহট্ট গ্রামের একটি পুকুর পারে তার প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে নাবালিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করতে চায় প্রেমিক। বাধা দেওয়ায় প্রেমিক তার তিন বন্ধুকে ডাকে। নাবালিকাকে জোর করে ধর্ষনের চেষ্টা করে। ধ্বস্তাধস্তি টানাহেচঁড়া চলতে থাকে। সেই সময় ওই নাবালিকা পুকুরে পরে যায়। তড়িঘড়ি সাইকেল নিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: PM Condolence: প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার সময় আশীর্বাদ পেয়েছিলেন মুলায়মের, জানালেন মোদী
পুলিশ আরও জানায়, সাঁতার জানত না নাবালিকা। ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ধর্ষনের কোনও চিহ্ন মেলেনি এবং জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
গত ৫ অক্টোবর দশমীর দিন নিখোঁজ হয় নাবালিকা। ৭ অক্টোবর জাঙ্গিপাড়া থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার দিন রাতে পুলিশ অভিযোগ নিতে গরিমসি করে বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সুপার বলেন, কোনও পুলিশকর্মীর গাফিলতির অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার ৮ অক্টোবর পুকুরে মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধারে গেলে বাধা পায়। কয়েক ঘন্টা পর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা গিয়ে সঠিক তদন্তের আশ্বাস দিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এদিন ভোর রাতে হরিপালের খাজুরিয়া থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ধৃতদের মধ্যে একজনকে শ্রীরামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বাকি তিন নাবালককে তোলা হয় উত্তরপাড়ার জুভেনাইল আদালতে।