টাকি: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বসিরহাটের (Basirhat) টাকি পুরসভা (Taki Municipality) ও হাসনাবাদ (Hasnabad) ব্লকের সীমান্ত ভারত-বাংলাদেশের (India-Bangladesh Border) মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে ইছামতী নদী (Ichamati River)। তার মধ্যে ৪ কিলোমিটার নদীর শাখাখাল হাসনাবাদের একাশ ও টাকি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড, ৫ নম্বর ওয়ার্ড, ৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১০, ১১, ১২ এই ওয়ার্ডগুলো অবস্থিত। দীর্ঘদিন খাল সংস্কার না-হওয়ার ফলে বর্ষাকাল আসলেই জলবন্দি হয়ে পড়েন প্রায় ৩০,০০০ মানুষ। ভয়ঙ্কর ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ফি-বছর। পাশাপাশি ৭০০ বিঘা জমিতে বৃষ্টির জল, পাশাপাশি নদীর নোনা জল ঢুকে বিভিন্ন ফসলেরও ক্ষতি হতো।
গতবছর ২৯ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুন্দরবন সফরে এসে টাকিতে পিএইচপি বাংলোতে রাত্রিযাপন করার সময় টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজি বিশেষ নজর দিয়েছিলেন ইছামতী খাল সংস্কারে। তাঁরা প্রস্তাব নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছিলেন। আর সেই কথা মাথায় রেখে ৫৭ লক্ষ টাকা ইছামতী নদীর খাল সংস্কারের জন্য বরাদ্দ করা হল টাকি পুরসভাকে। আর সেই কাজ বর্ষার আগেই শুরু হল।
টাকি পুরসভা ও পুর নাগরিকদের নিয়ে খাল সংস্কারে হাত লাগালেন শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা। টাকি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মনোরঞ্জন পাত্র বলেন, এর ফলে একদিকে টাকির মানুষ আর জলবন্দি হবেন না, পাশাপাশি জমির চাষ ভালো করে করতে পারবেন। অন্যদিকে বর্ষার জল সংরক্ষণ করে চাষের সুবিধা হবে বলে এমনটাই জানালেন। বর্ষার আগেই এই খাল সংস্কারের কাজ পুরোটা শেষ হবে।
ইতিমধ্যে চার কিলোমিটার এই ইছামতী নদীর খাল ৯০ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ বর্ষা আসার আগেই শেষ হবে। টাকি পুরসভা ও হাসনাবাদের একাংশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিলেন, এলাকার বেহাল নিকাশির কথা। অন্যদিকে, ভিটে ছাড়াও চাষের জমিও ক্ষতিগ্রস্ত হতো। তাই এই খাল সংস্কারের কথা দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছিলেন তাঁরা। তাঁদের দাবি মতো এবার রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খাল সংস্কারের টাকা বরাদ্দ করে দ্রুত এই কাজ করার শেষ করার কথা বলেছেন।