হাওড়া: দলের যাঁরা পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) টিকিট পায়নি সেই কাঁটা এখন চিন্তা তৃণমূলের (TMC) কাছে। সেখানে কেউ বিক্ষুব্ধ হয়ে নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়াচ্ছে। কেউ অন্য দলে যোগ দিচ্ছে। যা ভাবাচ্ছে তৃণমূলকে। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে সেই ছবি দেখা গেল রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বিরোধী রাজনৈতিক দল (Opposition) নয়, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরোধী যেন তৃণমূল নিজেই। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে রীতিমতো দল বেঁধে ‘নির্দল’ হিসেবে মনোনয়ন পেশের হিড়িক। এই ছবি দেখা গেল হাওড়ায়।
এলাকায় তৃণমূল নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) অনুগামী হিসেবে পরিচিতরা দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ জন প্রার্থী এবং প্রস্তাবক এসেছিলেন। এদিকে, এই মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র করে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল ব্লক অফিস চত্বরে। বালি জগাছা (Bali Jagachha) ব্লকে উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় হতে হয় পুলিশকে। রাফ (RAF) নিয়ে লাঠি হাতে অবৈধ জমায়েত হটাতে হয় পুলিশকে। সূত্রের খবর, বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের গোষ্ঠীকে আটকানোর চেষ্টা করার কথা ছিল তৃণমূল পন্থী কর্মীদের। যদিও পুলিশই সক্রিয়তায় এখনো পর্যন্ত অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগদান ৫০ জনের
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি এই ছবি দেখা যাচ্ছে মুর্শিদাবাদে। গত কয়েকমাস ধরে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া হিড়িক চলছে। প্রায় রোজই জেলার কোনও না কোনও প্রান্তে শ’য়ে শ’য়ে তৃণমূল কর্মী সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। এতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেস এককালের দুর্গ মুর্শিদাবাদের নতুন করে শক্তি ফিরে পাচ্ছে। অধীর বেশ কয়েকদিন ধরেই বলে আসছেন, এবার এই জেলায় মানুষ শান্তিতে ও অবাধে ভোট দিতে পারলে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। তাঁর দাবি, যে হারে তৃণমূল ছেড়ে রোজই লোকজন কংগ্রেসে আসছে, তাতেই বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূল জেলায় ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু শক্তিতে পরিণত হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার এক নম্বর ব্লকের পিফা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রায় ৫০ জন তৃণমূল কর্মী সমর্থক এদিন কংগ্রেসে যোগদান করলেন।