ওয়াশিংটন: করোনায় (Corona) জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন (Vaccine) আবিষ্কার হয়েছে। তারপরে করোনা রোগও গতি হারিয়েছে। অথচ দিনের পর দিন ক্যান্সারে সারা বিশ্ব জুড়ে লক্ষ লক্ষ রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। ক্যান্সারের ভ্যা্কসিন কী হতে পারে না? যে টিকা নিলে ভবিষ্যতে শরীরে ক্যান্সার (Cancer) থাবা বসাতে পারবে না। রোগ ছুঁলেও কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। আমেরিকার (US) একটি নামী প্রতিষ্ঠানের অঙ্কোলজিস্ট (Oncologist) এবার সেই ইস্যুটিকে তুলে ধরেছেন। কারণ তাঁর মতে, আগামী দিনে ভারত সহ বিশ্বে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়বে। তাই উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো, ভ্যাকসিন ব্যবস্থার উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
ওহিয়োর একটি প্রতিষ্ঠানে হেমাটোলজি ও মেডিক্যাল অঙ্কোলজির চেয়ারম্যান (Dr Jame Abraham, Chairman, Department of Haematology and Medical Oncology) চিকিৎসক জেম আব্রাহাম (Jame Abraham) সতর্ক করে বলেন, ভারতেও (India) আগামী দিনে বিশ্বায়ন, অর্থনীতির বহর বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তনের জেরে ক্যান্সারের মতো ক্রনিক (Chronic) রোগের সুনামি দেখা যেতে পারে। আগে সবচেয়ে বেশি দেখা যেতে মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার। এখন তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে ফুফুসের (Lungs Cancer) ক্যান্সার। যা বেশি প্রাণঘাতীও। ফুসফুসের ক্যান্সারে বিশ্বে ১৮ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ। যকৃতের (Liver) ক্যান্সারে মৃত্যু হচ্ছে ৮.৩ শতাংশ মানুষের। পাকস্থলী ক্যান্সারে মৃত্যু হয় ৭.৭ শতাংশ মানুষের। মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারে (Breast Cancer) মৃত্যু হয় ৬.৯ শতাংশ মানুষের। এই প্রসঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ক্যান্সার ভ্যাকসিনের (Vaccine) কথা। যে টিকা (Cancer Vaccines for Prevention and Treatment) নিলে ক্যান্সার শরীরে থাবা বসাতে পারবে না। তাঁর এই বক্তব্য শুশ্রুষার জগতে সাড়া ফেলেছে।
আরও পড়ুন: Weather Update: আবার চড়ছে পারদ, পাকাপাকিভাবেই কি বিদায় নিচ্ছে শীত?
তিনি ভারতকে সতর্ক (Warned) করে বলেছেন, বিশ্বায়নে জীবন যাত্রার পরিবর্তন (Changes of Lifestyle) ক্যান্সারের জন্য অন্যতম দায়ী। ২০২০ সালের চেয়ে ২০৪০ সালের মধ্যে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা সারা বিশ্বে ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে চলেছে। যা কার্যত সুনামির আকার ধারণ করবে। ২৮.৪ মিলিয়ন ক্যান্সার রোগী দেখা যেতে পারে সেখানে। সেজন্য তিনি পরামর্শ দিয়েছেন, নতুন প্রযুক্তি নির্ভর চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু করার। যাতে শুরুতেই এই রোগ ধরা পড়ে। সহজে তা নির্মূল করা যায়।
ওই চিকিৎসক জেম আব্রাহাম আরও বলেন, আগামী দিনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), ডাটা ডিজিটাল টেকনোলজি, লিকুইড বায়োপসি থেকে ক্যান্সার নির্ণয়, চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। যা এই শতকে ক্যান্সার চিকিৎসায় যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে। জেনোমিক প্রোফাইলিং, জিন এডিটিং টেকনোলজি, ইমিউনো থেরাপি (CAR T Cell Therapy) এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবে। একইসঙ্গে তিনি জোর দিয়েছেন ইমিউনো থেরাপির উপর। যা ক্যান্সার শুশ্রুষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে।(Immunotherapies in Combination with Chemotherapy)
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে অন্তত ১ কোটি মানুষ ক্যান্সারে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রায় ২ কোটি মানুষ নতুন করে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।