Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeদেশEditor's guild: ভুয়ো খবর ঠিক করবে একা কেন্দ্র, হতে পারে না, আপত্তি...

Editor’s guild: ভুয়ো খবর ঠিক করবে একা কেন্দ্র, হতে পারে না, আপত্তি তুলল এডিটর্স গিল্ড

Follow Us :

নয়াদিল্লি: ভুয়ো খবর (Fake News) যাচাই করার বা ঠিক করার দায়িত্ব সরকারের একার হাতে থাকতে পারে না। এর ফলে সংবাদমাধ্যমের অধিকার খর্ব হবে। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার যে খসড়া সংশোধনী এনেছে, তা বাতিল করার আবেদন জানিয়ে বুধবার এক বিবৃতি দিয়েছে এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া (EGI)। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) যে খবরকে ভুয়ো বলে গণ্য করবে, সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলিকে সেই খবর বাতিল করার পথে বাধ্য করতে চলেছে সরকার।

গিল্ড বিবৃতি আরও লিখেছে, নয়া খসড়া যাতে সরকার বাতিল করে সেজন্য আর্জি জানানো হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে অর্থপূর্ণ আলোচনার দাবি তোলা হয়েছে। ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ে যাতে একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামো গড়ে তোলা যায়, সে ব্যাপারেও গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করে একটা রাস্তা বের করার জন্য সরকারকে জানিয়েছে গিল্ড। কারণ গিল্ড সংবাদ প্রকাশে কাঁচি চালানোর বিষয়ে খসড়া সংশোধনী নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন: Budget 2023: বাজেটে কী কী করছাড় মিলতে চলেছে? মধ্যবিত্তরা কী চাইছেন?

অসত্য সংবাদ বা ভুয়ো সংবাদ নিয়ে এমনিতেই একাধিক আইন আছে। এই নতুন পদ্ধতি বাস্তবিক সংবাদ মাধ্যমের মুক্ত স্বাধীনতার মুখে কুলুপ আঁটার চেষ্টা। যার পূর্ণ ক্ষমতা পিআইবি কিংবা সরকার নির্দিষ্ট অন্য সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। একমাত্র তারাই সংবাদের সত্যাসত্য নিরূপণ করবে। এর ফলে সরকার যে খবরকে সমস্যাজনক মনে করবে সেই বিষয়কেই সংবাদ মাধ্যমের তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এটাকে সংবাদ প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করে গিল্ড।

প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার বৈদ্যুতিন এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০২১-এর সংশোধিত খসড়া প্রকাশ করে। এর আগে এটা প্রকাশ করা হয়েছিল জনমত সংগ্রহের জন্য। গত আট বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ডিজিটাল মাধ্যম নিয়ে দেশের জনগণকে উৎসাহ দিলেও বড় বড় টেক কোম্পানিগুলির সঙ্গে বিজেপি সরকারের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। বরং সম্পর্কের মধ্যে টানাপড়েন রয়েছে। ফেসবুক (Facebook), ইউটিউব (YouTube) এবং টুইটার (Twitter)-এর মতো সংস্থাগুলির উপর নিয়মের কড়াকড়ি দিনদিন আরও শক্ত করেছে এবং করছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া কন্টেট নিয়ে টেক সংস্থাগুলির সঙ্গে ভারত সরকারের (Indian Government) সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ। কেন না অনেক সময়তেই তাদেরকে কোনও নির্দিষ্ট পোস্ট সরানোর অনুরোধ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট টেক সংস্থাগুলিকে সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট পোস্ট তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ (Remove) করতেও হয় বাধ্য হয়। 

গত জুনে ভারত সরকার তথ্য প্রযুক্তি আইনের খসড়া জারি করেছিল। তাতে কোম্পানিগুলির উদ্দেশ্যে বলা হয়েছিল, “ভারতের সংবিধানের অধীনে নাগরিকদের প্রদত্ত অধিকারকে সম্মান করতে হবে” এবং সেই সঙ্গে সরকারি প্যানেল গঠনেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ভারত সরকারের যুক্তি হল, কন্টেট মুছে ফেলার অনুরোধ জানানো ব্যবহারকারীরা অর্থাৎ ইউজাররা তাঁদের সিদ্ধান্ত জানানোর মতো সঠিক মঞ্চ পাচ্ছেন না, আপিল করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই, ফলে তাঁদের আইনের পথে হাঁটতে হচ্ছে এবং আদালতে দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। ভারত সরকার এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন।  গত জুনে ভারত সরকার কোনও কোম্পানির নাম না করেই কিংবা নির্দিষ্ট কোনও অধিকারের কথা উল্লেখ না করেই জানিয়েছিল, “বেশ কিছু (প্রযুক্তি) মাধ্যম ভারতীয় নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করেছে”। তথ্য প্রযুক্তি আইন সংশোধন করে ভারত সরকার এই বিষয়টি দেখার জন্য যে সরকারি প্যানেল তৈরি করবে, তাতে একজন চেয়ারপার্সন এবং দু’জন পূর্ণ সময়ের সদস্য থাকবেন, পাশাপাশি দু’জন স্বাধীন সদস্যও নিয়োগ করা হবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular