ইন্দোনেশিয়ার সংসদে পাস হওয়া ফৌজদারি বিধিতে কী আছে?
ইন্দোনেশিয়ার সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস হল নতুন ফৌজদারি বিধি৷ এর ফলে বিবাহবহির্ভূত যৌনতা নিষিদ্ধ হল। ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের পাশাপাশি নতুন ফৌজদারি বিধি মেনে চলতে হবে সে দেশের বাসিন্দা বিদেশিদের এবং পর্যটকদের৷ সূত্রের খবর, নতুন ফৌজদারি বিধিতে ধর্মত্যাগ নিষিদ্ধ৷ এছাড়া প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধাচরণও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে৷
প্রসঙ্গত, একসময়ে ওলন্দাজদের উপনিবেশ ছিল ইন্দোনেশিয়া। পুরনো বিধি সেই আমলের বলে জানানো হয়েছে সংসদীয় কমিশনের তরফে।
আরও পড়ুন: Bomb Found: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রাজ্যের দুই জায়গা থেকে উদ্ধার আটটি বোমা!
কী বলছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি?
ইন্দোনেশিয়ার নাগরিকদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলমান সম্প্রদায়ের। গত কয়েক বছর ধরে এই দেশ ধর্মীয় রক্ষণশীলতার দিকে ঝুঁকেছে। দেশের একাংশে জারি হয়েছে কঠোর ইসলামিক আইনকানুন। ইন্দোনেশিয়ার আচে প্রদেশে মদ এবং জুয়াখেলা নিষিদ্ধ হয়েছে। এছাড়া এখানে সমকাম, ব্যাভিচারে কেউ অভিযুক্ত হলে তাঁকে চাবুক মারা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্ট কঠোর আইনকানুন প্রণয়ন করলেও মানবাধিকার সংগঠনগুলির অভিযোগ, এতে মানবাধিকার ও স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। নতুন যে ফৌজদারি বিধি চালু করা হয়েছে তা মানবাধিকারের পরিপন্থী।
নতুন ফৌজদারি বি্ধি অমান্য করার শাস্তি কী হতে পারে?
নতুন যে ফৌজদারি বিধি চালু করা হয়েছে, তার খসড়া তিন বছর আগে একবার পার্লামেন্টে পাস করানো হয়েছিল৷ তারপর দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ ইন্দোনেশিয়ার হাজার হাজার নাগরিক পথে নেমে প্রতিবাদ জানান৷ প্রতিবাদকারীদের ভিতর অধিকাংশই ছাত্রছাত্রী৷ এরপর সরকার পিছু হটে৷
সূত্রের খবর, নতুন যে ফৌজদারি বি্ধি পার্লামেন্টে পাস হয়েছে তাতে বিবাহবহির্ভূত যৌনতায় এক বছরের কারাবাস হবে। এই বিধি চালু হওয়ার জেরে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।