কলকাতা: শীত শুধুই হাওয়া অফিসের ঘোষণা অনুয়ায়ী, ক্যালেন্ডারে তারিখ মেনে ঠান্ডা এসে গেল তা নয়। মানুষের মন জুড়ে থাকা অনুভূতির অংশ শীত। তাই তো শীতকাল নিয়ে কত কবিতা লেখা হয়েছে। শীত পড়লে (cold weather) বেড়াতে যাওয়ার জন্য মন উড়ু উড়ু করে। জমিয়ে খাওয়ার চিন্তা মাথায় ঘোরে। খাতায় কলমে এখনও এখানে শীতকাল না এলেও ইতিমধ্যে ঠান্ডা উপভোগ করতে শুরু করেছেন বঙ্গবাসী। বুধবার সকালে হিমেল পরিবেশের চেনা ছবি দেখা গেল কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন জায়গায়।
এদিন ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল সাড়ে ৬ টা। ভিআইপি রোডে হলদিরাম মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যালে সাইকেলে থমকে আছেন খবররের কাগজওয়ালা। মাথায় টুপি। গায়ে চাদর জড়ানো। একেবারে শীত পড়ে যাওয়ার চেনা ছবি। আবার দেখা গেল, কচিকাঁচারা মাথায় টুপি নিয়ে মোটরবাইকে চালক বাবাকে জড়িয়ে ধরে স্কুলের পথে যাচ্ছে। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতে ফাঁকে ছাদখোলা ডাম্পারে চেপে কাজে যাওয়ার সময় দিনমজুরদের মাথায় টুপি, গায়ে চাদর, সোয়েটার জড়ানো। ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে কলকাতা শহরের দোকানে শীত পোশাক ঝুলতে শুরু করেছে। রাজারহাটের একটি চায়ের দোকানে শীতের টিশার্ট ঝুলিয়ে রাখা। জিজ্ঞাসা করায় দোকানদার বললেন, জিনিসপত্রের যা দাম বাড়ছে তাই আয় বাড়ানোর জন্য এবার সাড়ে ৩০০ টাকা করে শীতে পড়ার এই টিশার্ট বিক্রি করছি। গ্রামে গঞ্জেও আখ (sugarcane) কেটে গুড় তৈরির শীতের চেনা ছবি দেখা যেতে শুরু করেছে। গাছে গাছে খেজুরের রস পাড়ার জন্য হাঁড়ি বাঁধতে দেখা যাচ্ছে। হাল্কা কুয়াশাও দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, নিউমার্কেটে ৭ দিনের মধ্যে হকারদের প্লাস্টিক ছাউনি সরানোর নির্দেশ
ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে শীত আসতে হাতে গোনা কয়েক প্রহর বাকি থাকলেও ঘরে ঘরে শীতের চেনা আমেজ দেখা যেতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী, এদিন দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকার কথা। সর্বনিম্ন ২১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রি। তবে এদিন বাতাসের গুণমান খারাপ (poor air quality) জায়গায় আছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (air quality index) বা বাতাসের দূষণ সূচক রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের হিসেব অনুযায়ী সকালেই ছিল ২৬১। যা খারাপ মানের। যাঁদের শ্বাকষ্ট আছে এটা তাঁদের কাছে চিন্তাজনক। কোনও কোনও ওয়েবসাইটে দেখানো হয়, এদিন দূষণ সূচক ছিল ৩০০-র বেশি। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে চিন্তাজনক।