নয়াদিল্লি: কর্নাটকে কি ত্রিশঙ্কু (Hung) বিধানসভা (Karnataka Assembly Election 2023) হতে চলেছে? নাকি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কোনও দল! ইতিহাস বলছে, গত ২০ বছরে দক্ষিণের এই রাজ্যে ত্রিকোণ লড়াই হয়েছে বিজেপি (BJP), কংগ্রেস (Congress) এবং জনতা দল সেকুলারের (JDS) মধ্যে। এবং প্রতিবারই ত্রিশঙ্কু ফল হয়েছে। একমাত্র ২০১৩ সালে কংগ্রেস সেই রীতি ভেঙেছিল। কিন্তু, ২০১৮ সালে আবার তাদের একগুচ্ছ বিধায়ক বিজেপিতে চলে যাওয়ায় ‘রাজনৈতিক শত্রু’ জনতা দল সেকুলারের সঙ্গে জোটে যেতে হয় কংগ্রেসকে। এ বছর বিজেপি এবং কংগ্রেস স্থায়ী সরকার গঠন করতে বদ্ধপরিকর। দুদলই দাবি করেছে, তারাই সরকার গঠন করবে। অন্যদিকে, জনতা দল সেকুলার কমতি আসন পেলেও রাজমুকুট কার মাথায় যাবে, সেটা তারাই ঠিক করবে বলে গৌরব বোধ করছে।
ফের ত্রিকোণ লড়াই
বিজেপি
এই প্রথম দেশের শাসকদল মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ছাড়াই নির্বাচনী আসরে নামছে। বি এস ইয়েদুরাপ্পা সম্প্রতি ভোট রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আটের দশক থেকে তিনিই ছিলেন কর্নাটকে বিজেপির প্রধাম মুখ। বর্তমানে দলের ভাঁড়ারে কোনও জননেতার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই ভোটের জুয়ায় বাজি ধরতে নেমেছে পদ্ম শিবির। ফলে সরকার-বিরোধী ভাবাবেগ ও কংগ্রেসের দুর্নীতিই বিজেপির পুঁজি। মোদি আরও একবার ডাবল ইঞ্জিনের টোপ দেবেন প্রচারে এসে।
আরও পড়ুন: Calcutta High court | কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন টিএস শিভঘ্ননম
কংগ্রেস
সরকার বিরোধী হাওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস ২০১৮ সালে ৩৮ শতাংশ ভোট পেয়ে ৭৮টি আসন পেয়েছিল। অন্যদিকে, বিজেপির আগ্রাসনবাদী বিধায়ক ভাঙানোর খেলা খেলেও তাদের আসন সংখ্যা কমে ৬৯ হয়ে যায়। এবার কংগ্রেস দুর্নীতির অভিযোগের এবং সরকার বিরোধী হাওয়াকেই প্রচারে তুলে ধরবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষত রাহুল গান্ধীকে সংসদ থেকে সরানোর ইস্যুকে জনগণের সামনে চক্রান্ত বলে তুলে ধরতে চাইবে কংগ্রেস।
জেডিএস
রাজ্য বিধানসভা দখলে যখন কংগ্রেস এবং বিজেপি মরিয়া, তখন অলক্ষ্যে বসে হেসে চলেছে হরদোনাহাল্লি ডাড্ডেগৌড়া দেবেগৌড়ার দল। তারা ধরে রেখেছে ২৫ থেকে ৩৫টি আসন। এই কটি আসনে জিতলেই ‘রাজা’ তৈরির জাদুকাঠি তাদের হাতেই থাকবে। এর আগে তারা দুদলের সঙ্গেই সরকার গড়েছে।