বেঙ্গালুরু: বিজেপির (BJP) পার্লামেন্টারি বোর্ডের সদস্য, কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার (B S Yediyurappa) বিরুদ্ধে সাড়ে ২৯ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের তদন্তে বাধা নেই, জানিয়ে দিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Karnataka High Court)। অভিযোগ, রামলিঙ্গম কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামেরএক আবাসন নির্মাণ সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে এই অর্থের লেন-দেন হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা, তাঁর ছেলে বি ওআই বিজয়েন্দ্র, জামাই এবং নাতিরও নাম রয়েছে। নাম রয়েছে তাঁর সেই সময়ের মন্ত্রিসভার এক সদস্য, এক আই এ এস অফিসার, এক বিল্ডার সহ কয়েক জনের। এই দুর্নীতি মামলা করেছিলেন ‘কর্নাটক অ্যান্টি গ্রাফ্ট অ্যান্ড এনভায়র্নমেন্ট ফোরামের’-এর পক্ষ থেকে সমাজকর্মী টি জে আব্রাহাম।
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিচারের জন্য নির্দিষ্ট আদালতে আব্রাহাম এই মামলা করলে বিচারপতি বলেছিলেন, যদিও অভিযোগের চরিত্র দেখে মনে হচ্ছে এর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে , কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রধান অভিযুক্ত যেহেতু একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং রাজ্যেরমুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপালের অনুমোদন না-থাকায় এই মামলা তিনি চালাতে পারবেন না। এর পর টি জে আব্রাহাম হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। গত বুধবার হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি এস সুনীল দত্ত যাদব তাঁর রায়ে বলেছেন, ইয়েদুরাপ্পা এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা চালাতে কোনও আইনি বাধা নেই। তবে পুলিশকে যদি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হয় তখন অনুমতির প্রশ্ন সামনে আসবে। আব্রাহাম নয়, তখন পুলিশকেই সেই অনুমতি সংগ্রহ করতে হবে।
বি এস ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে অভিযোগটা ঠিক কী? টি জে আব্রাহামের অভিযোগ, বেঙ্গালুরু ডেভলাপমেন্ট অথারিটির অধীনে একটি আবাসন প্রকল্পের বরাত পেতে প্রথমে ১২ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়। পরে বিভিন্ন শেল কোম্পানির মাধ্যমে ইয়েদুরাপ্পার আত্মীয়-স্বজন এবং কয়েক জন মন্ত্রী-আমলাকেকে নগদে ১৭.৫ কোটি টাকা দেওয়াহয়েছে।
আরও পড়ুন: মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ, অভিযোগ কর্নাটকের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে বেঙ্গালুরুতে সন্তোষ পাটিল নামে একজন সিভিল কনট্র্যাক্টর আত্মহত্যা করেন। তিনি সুইসাইড নোটে পঞ্চায়েতমন্ত্রী কে এস ঈশ্বরাপ্পার নাম করে লেখেন, যে কোনও ঠিকাদারির কাজে ৪০ শতাংশ কাটমানি দিতে হয়। এই ঘটনার পর সেখানকার কনট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা প্রকাশ্যে বিভিন্ন টেলিভিসনে এসে এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকারও করেন। এর পর কে এস ঈশ্বরাপ্পাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়েও দেওয়া হয়। যদিও এই নিয়ে কোনও ইডি বা সিবিআই তদন্ত কিছু্ই হয়নি।