মুম্বই: বলিউড (Bollywood) মানেই গ্ল্যামারের ছড়াছড়ি। সিনেমার পুরস্কার বিতরণী (Award Show) অনুষ্ঠানে সেই গ্ল্যামারের হাতছানি দেখা যায়। এবার সেই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান নিয়েই প্রশ্ন উঠল। প্রশ্ন তুললেন সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া সফল সিনেমা কাশ্মীর ফাইলসের (Kashmir Files) পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)। সলমান খানের (Salman Khan) পর বিবেক অগ্নিহোত্রী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানকে ভর্ৎসনা করলেন। ওই পরিচালক (Director) বলেন, অনৈতিক, সিনেমা বিরোধী পুরস্কার অনুষ্ঠানের অংশ হওয়া থেকে প্রত্যাখ্যান করছি। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রীর সিনেমা কাশ্মীর ফাইলস ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সাতটি ক্যাটেগরিতে (Category) মনোনয়ন পেয়েছে। পরিচালক জানিয়ে দিয়েছেন তিনি ওই অনুষ্ঠানে যাবেন না। তার কারণও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটারে (Twitter) বিবেক লিখেছেন নম্রভাবে তিনি পুরস্কার অনুষ্ঠানের অংশ হওয়া প্রত্যাখ্যান করেছেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন পরিচালকদের তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হয় না। স্টার (Star) ছাড়া আর কাউকে সামনে আনা হয় না। এই রীতির জন্য সঞ্জয়লীলা বনশালী, আনিস বাজমি, সুরজ বরজাতিয়াকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সলমান খান, আলিয়া ভাট, কার্ত্তিক আরিয়ানের মতো স্টাররা সব প্রচারের আলো নিয়ে নিয়েছে। বিবেক আরও বলেছেন, ফিল্ম টেকনিশিয়ান, ক্যামেরার পিছনে যাঁরা থাকেন যাঁদের প্রচুর অবদান আছে তাঁরা অবহেলিত। তিনি লেখেন, আমি প্রত্যাখ্যান করছি কোনও দমনমূলক দুর্নীতির ব্যবস্থার অংশ হতে। যেখানে লেখক, পরিচালক, ফিল্মের অন্য সদস্যদের স্টারের নীচে দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, গতমাসে সলমান খান (Salman Khan) বলেন, তিনি ম্যায়নে পিয়ার কিয়া সিনেমার জন্য ফিল্ম ফেয়ারে মনোনীত ছিলেন। তাঁকে পুরস্কারের জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, যখন তাঁকে পুরস্কার দেওয়া হয়নি তিনি মনে করেছিলেন তাঁকে প্রতারণা করা হয়েছে। শোনা যায় আমির খানের (Amir Khan) ক্ষেত্রেও নাকি এমন ঘটনা ঘটেছিল। আমির খান কেরিয়ারের শুরুর দিকে এরকম ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন। বলা হয়, জো জিতা ওহি সিকন্দর সিনেমার জন্য মনোনয়ন পেয়েছিলেন তিনি ফিল্ম ফেয়ারে । তিনি আশা করেছিলেন জিতবেন। কিন্তু বেটা সিনেমার জন্য অনিল কাপুরকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। শাহরুখ খান যখন দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গের সময় সব পুরস্কার নিয়ে গিয়েছিলেন। সেসময় রঙ্গীলা সিনেমায় ভালো অভিনয় করলেও নিরাশ হন আমির। তারপর থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন আর কোনও পুরস্কার অনুষ্ঠানে তিনি অংশ নেবেন না। তারপর থেকে আর কোনও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যাননি তিনি।