ম্যাঞ্চেস্টার সিটি–৪ আর্সেনাল–১
(কেভিন দে ব্রুইন-২, জন স্টোনস, আর্লিং হাল্যান্ড) ( রব হোল্ডিং)
ম্যাচটা ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ। এক নম্বরে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে দুই নম্বরে থাকা ম্যাঞ্চেস্টার সিটির। যে টিম জিতবে তারা লিগ খেতাবের দিকে এগিয়ে যাবে। সেই বিচারে নিজেদের ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে আর্সেনালকে চূর্ণ করে ম্যান সিটি অনেকটাই এগিয়ে গেল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দিকে। এই ম্যাচের পর ৩৩ ম্যাচ খেলে আর্সেনালের পয়েন্ট হল ৭৫। আর ম্যান সিটির ৩১ ম্যাচ খেলে ৭৩। বিরাট কোনও অঘটন না ঘটলে বাকি সাতটা ম্যাচে ম্যান সিটির টপকে যাওয়ার কথা আর্সেনালকে। ম্যান সিটি গত বছরের চ্যাম্পিয়ন। গত পাঁচ বছরে তারা তিন বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আর্সেনাল শেষ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০০৪ সালে।
নিজেদের মাঠে পেপ গুয়েরদিওলার দল যে এভাবে নাস্তানাবুদ করবে আর্সেনালকে তা মনে হয় তাদের অতি বড় সমর্থকও ভাবতে পারেননি। ফরোয়ার্ডে কাভিন দে ব্রুইন, আর্লিং হাল্যান্ড এবং জ্যাক গ্রিলিশের ত্রিফলা আক্রমণ ফালাফালা করে দেয় আর্সেনালকে। ম্যাচের সাত মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। পেছন থেকে আসা একটা লম্বা ক্লিয়ারেন্স ধরে নিয়ে হাল্যান্ড ফরোয়ার্ড পাস বাড়ান কেভিন দে ব্রুইনকে। বেশ খানিকটা বল নিয়ে দৌড়ে বক্সের বাইরে থেকে মাটি ঘেঁষা শটে দে ব্রুইন পরাস্ত করেন গোলকিপার অ্যারন র্যামসেডেলকে। শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ায় ম্যাচের উপর জাঁকিয়ে বসে ম্যান সিটি। কিন্তু এর পর আর্সেনাল ডিফেন্স এবং গোলকিপার সামলে দেন বিপক্ষের আক্রমণ। কিন্তু বিরতির ঠিক আগে আবার গোল খায় আর্সেনাল। বক্সের বাইরে থেকে দে ব্রুইনের ফ্রি কি হেড করে গোল করেন সেন্টার ব্যাক জন স্টোন্স। সহকারি রেফারি অফ সাইডের নির্দেশ দিন। বাতিল হয় গোল। কিন্তু ভিডিও অ্যানালিস্ট রেফারি অর্থাৎ ভার জানিয়ে দেয় স্টোন্স অফ সাইডে ছিলেন না। তিনি অন সাইডে ছিলেন। তাই ম্যান সিটি ২-০ গোলে এগিয়ে যায়।
বিরতির পর খেলা শুরু হতেই আবার গোল। এবারও হাল্যান্ডের পাস থেকে গোল করেন দে ব্রুইন। ম্যাচের বয়স তখন ৫৪ মিনিট। এর পর ম্যাচটা কার্যত শেষ হয়ে যায়। ম্যান সিটির ডিফেন্ডারদের দাপটে বেশি ট্যাঁ ফো করতে পারেনি আর্সেনাল ফরোয়ার্ডরা। বুকোয়া সাকা, গ্যাব্রিয়েল জেসুসরা গোল মুখ খুলতে বার বারই ব্যর্থ হয়েছেন। একেবার শৈষ দিকে একটা সম্মিলিত আক্রমণ থেকে সেন্টার ব্যাক রব হোল্ডিং গোল করে ব্যবধান কমান। তবে এমন একটা ম্যাচে হাল্যান্ডের গোল থাকবে না তা কি হয় ? শেষ পর্যন্ত ৯৫ মিনিটে গোল করলেন হাল্যান্ড। বক্সের মধ্যে তাঁকে বলটা বাড়িয়েছিলেন ফিল ফডেন। চ্যাম্পিয়নশিপ ম্যাচ জিতে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি অনেকটাই এগিয়ে গেল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জয়ের দিকে।