চাঁদুরিয়া: চারদিকে চাষের জমি। তার একপাশে কলাবাগান (Banana Farm)। কলাবাগানের মাঝখানে একটা সুড়ঙ্গ (Tunnel)। সেই সুড়ঙ্গের মাথার উপর কলাপাতা দিয়ে ঢাকা। সুড়ঙ্গে নামার জন্য রয়েছে সিঁড়ি। সেই সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে হবে। দূর থেকে দেখলে মনে হবে না যে ওই কলাবাগানের ভিতর সুড়ঙ্গ আছে। কিন্তু, কেন এই সুড়ঙ্গ? রয়েছে কোন গুপ্তধন!
সেই সুড়ঙ্গের ভিতরে বসবাস করে মানুষ। শুনলে তো অবাক হওয়ার জোগাড়। অনেকদিন ধরেই চলছে এই সুড়ঙ্গ-রহস্য। কেউ ব্যা পারটা এতক্ষণেও বুঝতে পারিনি। অনেক ডাকাডাকির পরে সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসেন বছর পঞ্চাশের এক যুবক। তাঁর নাম রাজু মণ্ডল ওরফে সিরাজুল মণ্ডল। বাড়ি চাঁদুড়িয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েতের বলিদাপাড়ায় (Chaduria, Nadia)। পেশায় একজন কৃষক। বাবা-মা মারা গিয়েছেন অনেকদিন আগেই। মূক-বধির একমাত্র বোন ছাড়া এই সংসারে কেউ নেই।
সাধ করে সুড়ঙ্গে বাস! আসলে তা নয়। কলাবাগানে হনুমানের (Monkey) উপদ্রবে সাধের কলা বাঁচাতেই এই গোপন-বাস। এ নিয়ে একটা রহস্য তৈরি হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। তবে রাজু বলেন, আবাস যোজনার ঘর পেয়েছেন, সেই ঘর শেষ করতে পারেননি টাকা কম পড়ে যাওয়ার কারণে। এই নিয়ে একটা মতানৈক্য আছে। বলিদাপাড়া থেকে এই কলাবাগান প্রায় ৩ কিমি রাস্তা। সেই কলাবাগানের একটা জায়গায় ৮ ফুটের সুড়ঙ্গ। পরিবেশ গা ছমছম করা।
সারাদিন মুড়ি, চিঁড়ে, চানাচুর, দোকানের পরোটা খেয়ে কাটান। তবে রাজু ভালো আছেন, সে নিজেই জানালেন। চাকদহ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ জাকির হোসেন মণ্ডল বলেন, রাজু আমার পাড়ার ছেলে, খুব কর্মঠ। আগে জমি ছিল ছিল। বর্তমানে বিঘা তিনেক জমি আছে। আবাস যোজনার ঘর পেয়েছিল। আপনাদের মুখে শুনলাম, কেন সুড়ঙ্গে থাকছে, আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।