চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি। উত্তর ২৪ পরগনা এবং কলকাতা সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও একাধিক জেলায় ভয়াল চেহারা নিচ্ছে এই মারণ ব্যাধি। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর প্রায়ই সংবাদের শিরোনামে আসছে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতেই নবান্নে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সবক’টি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থাকতে বলা হয়েছে জেলাশাসক এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকদেরও।
প্রসঙ্গত, শনিবার সকালেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কলকাতা পুলিশের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইনস্পেক্টরের। গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত এএসআই উৎপল নস্কর ২৭ অক্টোবর ক্যালকাটা মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। আজ, শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে মৃত্যু হয় তাঁর।
আরও পড়ুন: Bongaon Agitation: রাস্তা সংস্কার হয়নি ২৫ বছর, ভোট বয়কটের হুমকি গ্রামবাসীদের
ডেঙ্গির প্রাবল্য আটকাতে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ জনতাকেও সতর্ক থাকতে হয়। জল জমতে না দেওয়া, বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখার মতো নির্দেশিকা মানতে হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই অতি গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলো অগ্রাহ্য করা হয়। মহানগরীর মেয়র ফিরহাদ হাকিম ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের জন্য আমজনতার অসচেতনতাকে দায়ী করলেন। তিনি বললেন, প্রশাসনকে আরও বেশি করে সচেতনতামূলক প্রচার চালাতে হবে। মানুষকে অনেক বেশি সচেতন করতে হবে। মেয়রের কথায়, যেদিন মানুষ সচেতন হবে সেদিন আর ডেঙ্গু থাকবে না।
প্রসঙ্গত, গতকাল (শুক্রবার) জগদ্দলের বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। তিনি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। অবস্থার অবনতি ঘটলে আইসিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তারও দু’ দিন আগে মৃত্যু হয়েছিল এক প্রসূতির। সন্তান প্রসবের মাত্র দেড় দিনের মাথায় মৃত্যু হয়েছিল ২২ বছরের তরুণীটির।