ভোটের মুখে মোদি-শাহের রাজ্য গুজরাতে বিশাল প্রকল্প। টাটা এবং এয়ারবাস সংস্থা সেনা বাহিনীর জন্য বিমান তৈরির কারখানা করেছে। প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে এই প্রকল্পের জন্য। এই প্রথম দেশে সেনা বিমান তৈরি হতে চলেছে সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে। সূত্রের খবর, সেনা বিমান অসামরিক কাজেও ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন দেশের প্রতিরক্ষা সচিব অজয় কুমার।
আগামী রবিবার ভদোদরায় এই কারখানার শিলান্যাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, এই কারখানার ফলে কয়েক হাজার কর্মসংস্থান হবে। এই টাটা-এয়ারবাস যৌথ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের মেক ইন ইন্ডিয়া প্রচার আরও জোরদার হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেনা বাহিনীর কারিগরি কৌশল এবং যন্ত্রপাতির জন্য এতদিন ভারতকে বিদেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হত। এখন সেই সব সুবিধা ভারতেই মিলবে। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের।
আরও পড়ুন: Drug Smuggling: গুজরাতে এত বেশি মাদক উদ্ধার কেন? সাফাই অমিত শাহর
প্রতিরক্ষা সচিব বৃহস্পতিবার জানান, গত মাসে কেন্দ্রীয় সরকার এয়ারবাসের থেকে ৫৬টি এয়ারক্র্যাফ্ট কেনার অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি চালু অবস্থায় রয়েছে। বাকি ৪০টি দেশেই তৈরি হবে। এই ১৬টি বিমান ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে পাওয়া যাবে। গুজরাতের প্ল্যান্টে তৈরি বিমান ২০২৬ সালে হাতে এসে যাবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।
সামনেই গুজরাত বিধানসভার ভোট। হিমাচল প্রদেশের ভোটের দিন ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। নির্বাচন কমিশন তার দিনক্ষণ ঘোষণা করার সময় জানিয়েছিল, গুজরাতের ভোটের দিন সময়মতোই জানিয়ে দেওয়া হবে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই প্ল্যান্ট শিলান্যাসের জন্যই গুজরাতের ভোট ঘোষণা তখন করা হয়নি। রবিবার সেই শিলান্যাস পর্ব মিটলেই ভোটের দিন ঘোষণা করা হবে। দুই একদিনের মধ্যে গুজরাতে আরও কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন বা শিলান্যাস করা হতে পারে।