পুরুলিয়া : আবাস যোজনা নিয়ে অশান্তির জন্য কড়া ভাষায় কেন্দ্রের সমালোচনায় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্য। তাঁর অভিযোগ, ২০১৮ সালে যে আবাস যোজনা কার্যকর হওয়ার কথা, তা কেন্দ্র (Central Government) পাঠাল ২০২২ সালে। আর ওই অনাবশ্যক দেরির জন্যই যত অশান্তি। অনেকেই ঋণ নিয়ে বাড়ি করতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকের বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আর সেসব নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।
বৃহস্পতিবার বরাবাজারে ইন্দকুঁড়ি ময়দানে আয়োজিত মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস-এর উদ্যোগে পঞ্চায়েতী সভায় এভাবেই আবাস যোজনায় অশান্তি নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপিকে (BJP) তুলোধোনা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী (Minister) তথা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
কেন্দ্রের সরকারের কাছে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের প্রশ্ন একটি প্রকল্পের তালিকা কার্যকর করতে এতো দেরি হচ্ছে কেন? তাঁর দাবি, এই কয়েক বছরে অনেকের আর্থ সামাজিক অবস্থা বদলে গিয়েছে বলেই রাজ্য নতুন করে সমীক্ষা (Survey) করাচ্ছে। কারণ তৃণমূল স্বচ্ছতা চায়, দুর্নীতি চায় না।
এদিকে সমীক্ষার সময় আবাস যোজনায় নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগে গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর ঘিরে বিক্ষোভ (Agitation) গ্রামবাসীদের। গত বেশ কয়েক সপ্তাহের মত বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তবে এবার নিশানায় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের বিজেপি পরিচালিত খুদমরাই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখান গ্রামের বাসিন্দারা।
ওই সব গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করছেন, যারা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য তাঁদের নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর যাদের দোতলা পাকা বাড়ি আছে তারাই আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পাচ্ছেন। তাঁদের অভিযোগ, সমীক্ষার সময়েই প্রকৃত গরীব মানুষের নাম আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। তারা পাওয়ার যোগ্য হলেও কেন বাদ গেল তাদের নাম সে বিষয়েই প্রশ্ন উঠছে। আর এই ইস্যুতেই বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের (Block) খুদমরাই সাত নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
 পাঠাল ২০২২ সালে। আর ওই অনাবশ্যক দেরির জন্যই যত অশান্তি। অনেকেই ঋণ নিয়ে বাড়ি করতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকের বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আর সেসব নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি।){kind=link}