বোলপুর: তন্ত্র সাধনায় নাবালিকাকে (Minor Girl) নিয়ে সন্দেহজনক কাজের আগেই তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার সন্ন্যাসী মহিলা। পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত প্রক্রিয়ায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। বোলপুর থানা (Bolpur PS) এবং বীরভূম জেলা পুলিশের (Birbhum District Police) স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের জালে সন্ন্যাসী মহিলা রেখা সরকার। ঘটনার গভীরে ঢুকতে বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত। দিন চারেক আগে বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত তাতারপুর কলোনি (Tatarpur Colony) থেকে এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়। নাবালিকার পরিবারের তরফ থেকে বোলপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। ঘটনার গুরুত্ব বুঝে বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ পুলিশের টিম গঠন করা হয়। বিশেষ এই পুলিশের টিমে ছিলেন বীরভূম জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের (Special Operation Group) আধিকারিক সহ বোলপুর থানার পুলিশ।
নিখোঁজ নাবালিকার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাদের কোথায় কোথায় আত্মীয়-স্বজন রয়েছে সেই সম্পর্কে । জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে তারই দিদি রেখা সরকার তারাপীঠে থাকে বলে খোঁজ মেলে। গতকাল বীরভূম জেলা পুলিশের এই স্পেশাল টিম হানা দেয় তারাপীঠে। প্রথমে রেখা সরকার জানায় তার ভাইজি তার কাছে আসেনি। সমগ্র ঘটনা এড়িয়ে যায়। পরে পুলিশ চাপ দিলে ওই নাবালিকাকে বের করে দেয়।
আরও পড়ুন: France | Frog Fair | ফ্রান্সে ব্যাঙ ভাজা খাওয়ার মেলা, ক্ষোভের মুখে উদ্যোক্তারা
এই পুরো ঘটনায় এদিন বোলপুরের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার সুরজিৎ কুমার দে (Surajit Kumar Dey) সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, রেখা সরকার দীর্ঘদিন ধরে তন্ত্র সাধনার সাথে যুক্ত। প্রথম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সম্পূর্ণ বিষয় অস্বীকার করেন। পরবর্তী সময়ে তাকে চাপ দেওয়া হলে ওই নাবালিকাকে বের করে দেয়। প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে, তন্ত্রসাধনার কাজে ওই নাবালিকাকে বলি দেওয়ার প্রয়াস চলছিল। এই ঘটনার আরও গভীরে ঢুকতে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে নিয়েছে বোলপুর থানার পুলিশ।
এই ঘটনার কথা চাউর হতেই ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নাবালিকাকে বলি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কেন তাকে জিজ্ঞাসা করার পরও নাবালিকা নেই বলে জানাচ্ছিল সেখানেই সন্দেহ দানা বাঁধছে। এর জন্য তদন্তে আরও গভীরে যেতে হবে বলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পুলিশের তৎপরতায় দ্রুত ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে।