লখনউ: বেআইনিভাবে জমি দখল করে বসবাস করার অভিযোগে উচ্ছেদ অভিযানে (Removal of Encroachment) এসেছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টিম। চোখের সামনে মাথা গোঁজার একমাত্র ঠাঁই চলে যাচ্ছে দেখে কিশোরী মেয়েকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে নেন মা। আত্মহত্যার এই ঘটনায় মে ও মেয়ে দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাতের মৈথা তহসিল এলাকার মড়ৌলি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চালহা গ্রামে (Chalha Village of Madauli Panchayat of Maitha Tehsil Area of Kanpur Dehat)। সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর উচ্ছেদ অভিযানে আসা দলটি তড়িঘড়ি ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। মা ও মেয়ের গায়ে আগুন লাগানোর খবর পাওয়া মাত্রই সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের এডিজি অন্যান্য আধিকারিকদের (ADG and Other Officials) নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: Hindenburg-Adani Row: সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনে কমিটি নিয়োগে রাজি কেন্দ্র
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রুরার মড়ৌলি গ্রামে গ্রাম সমিতির জমি (Land of Village Society) জবরদখল করে ঘর বানিয়ে থাকার অভিযোগ ছিল কৃষ্ণগোপাল দীক্ষিতের (Krishnagopal Dixit) পরিবারের বিরুদ্ধে। রাজস্ব বিষয়ক টিম এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার পুলিশ বেআইনি জবরদখল উচ্ছেদ করার জন্য এসেছিল। পুলিশের উচ্ছেদ অভিযান দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন কৃষ্ণগোপালের স্ত্রী প্রমিলা দীক্ষিত (Pramila Dixit)। এরপরই, কুঁড়ে ঘরের ভিতর প্রমিলা তাঁর ১৯ বছরের মেয়ে নেহাকে (Neha) নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে নেন এবং আগুনে পড়ে দু’জনেরই মৃত্যু হয়েছে। কুঁড়ে ঘরটিও পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় এই ঘটনায় আর কোনও হতাহতের খবর নেই।
প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, পুলিশ কর্মীরা (Police) আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও, ব্যর্থ হন। আগুন নেভানোর চেষ্টায় কয়েক জন পুলিশ কর্মীর হাত পুড়ে যায় বলে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা এরপর লেখপালকে মারধর করে। কুঁড়ে ঘরের ভিতর আগুন লাগিয়ে মা-মেয়ের পুড়ে মরার ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে মৈথার সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (Sub Divisional Magistrate – SDM) জ্ঞানেন্দ্র কুমারের (Jnanedra Kumat) বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, দেড় মাস আগে কিছু জবরদখল উচ্ছেদ করা হয়েছিল এবং দখলকারীদের (Occupants) বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। এদিন বাদবাকি জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করতে পুলিশ সহ একটি দল ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছিল। গায়ে আগুন লাগিয়ে মা ও মেয়ে পুড়ে মরার ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।