সিওল: দেশের সামরিক বাহিনীকে (Military) আসল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন (Kim Jong Un, Supreme Leader of North Korea)। প্রকৃত যুদ্ধ প্রতিহত এবং প্রয়োজনে সাড়া দিতে সামরিক মহড়া জোরদার করতে বলেছেন তিনি। শুক্রবার সেদেশের রাষ্ট্রপরিচালিত সংবাদমাধ্যম (State Media) এই খবর জানিয়েছে। সামরিক বাহিনীর ফায়ার অ্যাসল্ট ড্রিল (Fire Assault Drill) পর্যবেক্ষণের পর কিম জং বলেছেন, ফায়ার অ্যাসল্ট ড্রিল প্রমাণ করে দিয়েছে যে উত্তর কোরিয়ার সক্ষমতা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই পরোক্ষে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন কিম।
উত্তর কোরিয়া গত বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দেশের পশ্চিম উপকূলে (West Coast) ছোট পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল (Short-Range Ballistic Missile) ছুড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) সামরিক বাহিনী সূত্রে খবর, উত্তর কোরিয়া একই অঞ্চল থেকে সমুদ্রে একাধিক মিসাইল নিক্ষেপ করে থাকতে পারে। উত্তর কোরিয়ার কেসিএনএ সংবাদ সংস্থার (Korean Central News Agency – KCNA) দেওয়া তথ্য বলছে, একই সঙ্গে ৬টি মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থার দাবি, সেদেশের সামরিক বাহিনীর একটি ইউনিটকে স্ট্রাইক মিশনের (Strike Missions) জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, তারাই সমুদ্রে জলের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে মিসাইল ছুড়েছে। এই যুদ্ধ মহড়া প্রমাণ দিয়েছে যে উত্তর কোরিয়া আসল যুদ্ধ হলে পাল্টা জবাব (Counter An Actual War) দিতে তৈরি আছে।
আরও পড়ুন: Xi Jinping: আরও পাঁচ বছর প্রেসিডেন্ট জিনপিং, চীনা পার্লামেন্টের অনুমোদন
কেসিএনএ সূত্রে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে আরও জানানো হয়েছে, সর্বাধিনায়ক কিম দু’টি স্ট্র্যাটেজিক মিশন (Strategic Mission) চালানোর জন্য কঠোরভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার উপর জোর দিয়েছেন। এজন্য ফায়ার অ্যাসল্ট সাব-ইউনিট (Fire Assault Sub-Unit) তৈরি করতে বলেছেন। দু’টি স্ট্র্যাটেজিক মিশনের মধ্যে একটি হবে যুদ্ধ প্রতিহত করার জন্য এবং অপরটি হবে যুদ্ধের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। এইভাবে প্রকৃত যুদ্ধের জন্য জন্য মহড়া দিয়ে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কিম জং উন।
ব্যালিস্টিক মিসাইল নিয়ে সামরিক বাহিনীর যু্দ্ধ মহড়ায় কিমের সঙ্গে এসেছিল তাঁর মেয়ে। তার বয়স এখন দশ বছর। সম্প্রতি তাকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বাবার সঙ্গে আসতে দেখা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, আর কিছুদিনের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া (USA and South Korea) সামরিক মহড়া দেবে। পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ফ্রিডম শিল্ড ড্রিলস (Freedom Shield drills) আগামী সপ্তাহে হওয়ার কথা। তার আগে উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে নিজের সামরিক শক্তি সম্পর্কে আগাম জানান দিয়ে রাখল। উত্তর কোরিয়ার সুপ্রিম লিডার কিমের বোন কিম ইয়ো জং (Kim Yo Jong) চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে আমেরিকার উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, তাঁর দেশের সামরিক বাহিনীর ছোড়া কোনও পরীক্ষামূলক মিসাইল যদি ধ্বংস বা প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়, তাহলে তা যুদ্ধ ঘোষণা হিসেবেই ধরা হবে। সম্প্রতি পশ্চিমী দুনিয়া ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরার জন্য উত্তর কোরিয়া দায়ি করেছে মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার প্রস্তুতিকে।
ইউএস ইন্দো-প্যাসিফিক কম্যান্ড (U.S. Indo-Pacific Command) বলেছে, উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা তাদের বন্ধু দেশগুলির জন্য কোনও হুমকি নয়, তবে পিয়ংইয়ংয়ের গণবিধ্বংসী অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে একটি অস্থিতিশীল প্রভাব (Destabilising Effect) ফেলেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations Security Council) সদস্যদের নিয়ে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করবে। মনে করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপের ফলে পিয়ংইয়ং (Pyongyang) চটবে এবং চীন ও রাশিয়া (China And Russia) বিরোধিতা করবে।
 আসল যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন (Kim Jong Un, Supreme Leader of North Korea)। প্রকৃত যুদ্ধ প্রতিহত এবং প্রয়োজনে সাড়া দিতে সামরিক মহড়া জোরদার করতে বলেছেন তিনি। শুক্রবার সেদেশের রাষ্ট্রপরিচালিত সংবাদমাধ্যম (State Media) এই খবর জানিয়েছে। সামরিক বাহিনীর ফায়ার অ্যাসল্ট ড্রিল (Fire Assault Drill) পর্যবেক্ষণের পর কিম জং বলেছেন, ফায়ার অ্যাসল্ট ড্রিল প্রমাণ করে দিয়েছে যে উত্তর কোরিয়ার সক্ষমতা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের বক্তব্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধেই পরোক্ষে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন কিম। ){kind=link}