গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স ২০২২ (Global Hunger Index 2022)-এ ভারত ছয় ধাপ নেমে গিয়েছে। ১২১-এর মধ্যে ব়্যাঙ্কিংয়ে স্থান হয়েছে ১০৭। এক কথায় বলতে গেলে, বাইরে থেকে যাই দেখানো হোক না কেন, খিদের জ্বালায় জ্বলছে দেশ, শিশুরা ঠিকমতো পুষ্টি পাচ্ছে না। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার করেও অপুষ্টি এখনও একটা বড়ো সমস্যা ভারতের। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার সূচক প্রকাশিত হওয়ার পরই বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। বিরোধীরাও একহাত নিয়েছে বিজেপি সরকারকে (BJP Government)।
প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী এবং বরিষ্ঠ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম (P Chidambaram) একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় সমালোচনা করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। মোদি সরকারের জমানায় গত আট বছরে ভারতের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স স্কোর খারাপ হয়েছে।
Our score has worsened since 2014 in the 8 years of the Modi government
16.3 per cent of all Indians are undernourished, meaning they do not get enough food
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) October 15, 2022
মাইক্রো ব্লগিং সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে চিদম্বরম লিখেছেন, “হিন্দুত্ব, হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া, ঘৃণা ছড়ানো ক্ষুধার অ্যান্টিডোট নয়।”
19.3 per cent of children are wasted, 35.5 per cent of children are stunted
Hindutva, imposing HIndi and spreading Hate are not the antidote to Hunger
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) October 15, 2022
চিদম্বরমের ছেলে ও লোকসভার সদস্য কার্তি চিদম্বরম (Karti Chidambaram) টুইট করেছেন, “বিজেপি এটাকে নাকচ করবে এবং যে সংস্থা এই অধ্যয়ন (study) চালিয়েছে, সেখানে হানা (raid) চালাবে।”
দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া (Manish Sisodia) বলেছেন, বিজেপি পাঁচ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির কথা বলে, কিন্তু ১০৬টি দেশ আমাদের চেয়ে এগিয়ে দিনে দু’বেলা খাবার দেওয়ার দিক থেকে।
হিন্দিতে তিনি যে ট্যুইট (tweet) করছেন, তার অর্থ হলো, দেশের প্রতিটি শিশুকে (child) ভালো শিক্ষা প্রদান করতে পারলে, ভারত কোনও দিন এক নম্বর হতে পারবে না।
আরও পড়ুন: Jamshedpur Student: পোশাক খুলিয়ে নকলের কাগজ তল্লাশি, অপমানে গায়ে আগুন নবম শ্রেণির ছাত্রীর
বিরোধীরা (opposition) যে সমালোচনা করছেন, তার কারণও রয়েছে। গত বছর গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারতের দুর্দশার চিত্র প্রকট হওয়ার পর, বিজেপি’র পাল্টা দাবি ছিল, যে সংস্থা অধ্যয়ন চালিয়েছে, তারা ঠিকমতো অধ্যয়ন চালায়নি এবিষয়ে।
উল্লেখ্য, গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে ভারতের স্কোর ২৯.১। এই স্কোর অনুযায়ী তালিকায় ক্ষুধার (hunger) দিক থেকে ভারতের স্থান গভীর উদ্বেগের ক্যাটেগরিতে (category) রয়েছে। এমনকি, যে সমস্ত দেশকে ভারত সাহায্য পাঠায়, তারাও এগিয়ে রয়েছে দেশের শিশুদের খিদের জ্বালা মেটানোর দিক থেকে। প্রতিবেশী দেশ শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, নেপাল, বাংলাদেশ, এবং পাকিস্তানের ব়্যাঙ্কিং যথাক্রমে ৬৪, ৭১, ৮১, ৮৪ এবং ৯৯। সেখানে ভারতের স্থান ১০৭ নম্বরে। যা চরম লজ্জার বিষয় বলে মন্তব্য বিশেষজ্ঞ মহলের। কারণ ভারতের জিএইচআই স্কোর যেখানে ২৯.১, সেখানে ব়্যাঙ্কিংয়ে ১ থেকে ১৭ নম্বর স্থানে সম্মিলিতভাবে থাকা দেশগুলির স্কোর পাঁচের নিচে রয়েছে।
-এ ভারত ছয় ধাপ নেমে গিয়েছে। ১২১-এর মধ্যে ব়্যাঙ্কিংয়ে স্থান হয়েছে ১০৭। এক কথায় বলতে গেলে, বাইরে থেকে যাই দেখানো হোক না কেন, খিদের জ্বালায় জ্বলছে দেশ, শিশুরা ঠিকমতো পুষ্টি পাচ্ছে না। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পার করেও অপুষ্টি এখনও একটা বড়ো কারণ ভারতের। বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার সূচক প্রকাশিত হওয়ার পরই বিজেপি (BJP) নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।){kind=link}