২২-তম সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলনে (SCO Summit 2022) যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) সমরখন্দে (Samarkand) যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিনই নৈশভোজে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin), চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং (Xi Jinping) এবং পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের (Shabaz Sharif) সঙ্গে কথা হবে মোদির।
সম্মেলনের উদ্যোক্তা দেশ উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকত মিরজিয়োয়েভ বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের সম্মানার্থে নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। তবে জিনপিং-মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে কিনা, সে ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। যদিও সরকারিভাবে বৈঠক না-হওয়ার ব্যাপারেও কিছু জানানো হয়নি। কারণ, সম্মেলন চলাকালীন অন্তত দুবার তাঁদের মধ্যে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: Lakhimpur Kheri Incident: লখিমপুর খেরির ঘটনার সাফাই দিতে কী বলল যোগীর পুলিশ?
রাশিয়া নিশ্চিতভাবে জানিয়েছে, শুক্রবার মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন পুতিন। ওই বৈঠকে রাষ্ট্রপুঞ্জ (UN), জি-২০ (G-20) এবং এসসিও-র মতো সম্মেলনগুলিতে দু দেশের বহুমুখী ঐকমত্য গড়ে তোলার ব্যাপারে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় কৌশলগত স্থায়িত্ব, পরিস্থিতি ও সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হবে দুই নেতার মধ্যে। এছাড়াও মোদি-শাহবাজের মধ্যেও সম্মেলনের পাশাপাশি আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত ইরানের (Iran) প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির ভারতের প্রধানমন্ত্রী কূটনৈতিক আলোচনা সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
জিনপিং ও মোদির সঙ্গে আলোচনা এবং জিনপিং-পুতিনের বৈঠকের দিকেই আপাতত তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। কোভিডের (Covid 19) কারণে ২ বছর পর বসতে চলা এই সম্মেলনে জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদি কথা বলার সুযোগ পেলে তা বিশেষ বার্তা বয়ে আনবে। কারণ ২০২০ সালে গালওয়ান (Galwan) উপত্যকায় চীন-ভারত সেনাবাহিনীর সম্মুখ সমরের পর এই প্রথম তাঁদের মুখোমুখি দেখা হতে চলেছে।
এছাড়াও লাদাখ, অরুণাচল এলাকায় চীনা আগ্রাসনের বিষয়েও মোদি ভারতের উদ্বেগের কথা জানাতে পারেন কমিউনিস্ট নেতাকে। দ্বিতীয় উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ইউক্রেন যুদ্ধের পর এই প্রথম জিনপিং ও পুতিন মুখোমুখি বসতে চলেছেন সমরখন্দে। মূলত, আমেরিকা ও পশ্চিমী শক্তিধর দেশগুলির বিরোধী এই জোটে ভারতের ভূমিকা কী হতে চলেছে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।