নয়াদিল্লি: দিল্লি পুলিশ শুক্রবার রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নোটিস পাঠিয়েছিল, আর রবিবার সকালে তাঁর দিল্লির বাড়িতে পুলিশ পৌঁছল। ভারত জোড়ো যাত্রার (Bharat Jodo Yatra) সমাপ্তি পর্বে রাহুল শ্রীনগরে এক মহিলার যৌন নির্যাতনের প্রসঙ্গ তোলেন। তা নিয়েই তথ্য সংগ্রহ করতে আজ পুলিশ তাঁর বাড়িতে পৌঁছল। দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) নেতৃত্বে রয়েছেন বিশেষ কমিশনার সাগরপ্রীত হুডা।
ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল শ্রীনগরে পৌঁছে জানান, এখানে আসার পথে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে তাঁর কাছে অভিযোগ করেন। রাহুল তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি পুলিশকে জানাননি কেন? ওই তরুণী কংগ্রেস নেতাকে বলেন, পুলিশকে জানালে আমার লজ্জা আরও বাড়ত। সমাজে মুখ দেখানোর উপায় থাকত না। এই ঘটনার ৪৫ দিন পর একটি ঘটনা নিয়ে দিল্লি পুলিশ শনিবার রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠায়। ওই নোটিসে (Notice) বলা হয়, রাহুল গান্ধী যৌন নির্যাতনের (Sexual Abuse) শিকার হওয়া মহিলাদের তথ্য জানালে, পুলিশ (Police) তাঁদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে পারে। তাতে রাহুলের ওই মন্তব্য উল্লেখ করে, পুলিশ তরুণীটির সম্পর্কে বিশদ তথ্য জানতে চেয়েছে।
আরও পড়ুন : Jitendra Tiwari | আসানসোল আদালতে পেশ করা হল জিতেন্দ্রকে, মানুষ জবাব দেবে, বললেন বিজেপি নেতা
কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদি ও গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তোলায় বিজেপি তথা কেন্দ্রীয় সরকার জেরবার হয়ে যাচ্ছে। তাই যেভাবেই হোক রাহুলকে হেনস্তা করার চেষ্টা করছে অমিত শাহের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ। পুরনো ঘটনা নিয়ে দিল্লি পুলিশ এখন রাহুল গান্ধীকে এখন হেনস্তা করছে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি কী ধরনের নিচুমানের রাজনীতি করে।
লন্ডনে রাহুলের ভাষণ নিয়ে বিজেপি যে রাজনীতি করতে চাইছে, তা এখন দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। রাহুল গান্ধী ভারতের লোকসভাকে অপমান করেছেন, এই অভিযোগ তুলে কংগ্রেস নেতাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে বিজেপি গত কয়েকদিন ধরে সংসদে হইচই করছে। খোদ মন্ত্রীরা পর্যন্ত সংসদে এই দাবিতে, স্লোগান দিচ্ছেন, বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বিরোধীদের পাল্টা দাবি, আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করতে হবে। দু’পক্ষের এই হইহল্লার ফলে এই সপ্তাহের শুরু থেকেই সংসদের অধিবেশন কার্যত অছল হয়ে রয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, আর কিছু না পেয়ে, বিজেপি এবার শ্রীনগরে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যকে ব্যবহার করে রাজনীতি করতে চাইছে। দলের এক নেতা বলেন, আসলে আদানি কাণ্ড থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখার জন্য বিজেপির এই কৌশল