আসানসোল: কম্বলকাণ্ডে দিল্লি (Delhi) থেকে গ্রেফতার করা বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) রবিবার (Sunday) সকালে আসানসোল উত্তর থানা থেকে নিয়ে যাওয়া হল আসানসোল আদালতে। রবিবার গাড়িতে ওঠার সময় তিনি বলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, তখন সময়ই সব কিছুর জবাব দিয়ে দেবে। শনিবার জিতেন্দ্র বলেছিলেন, এই সরকার মনে করে, আমাকে জেলে রাখলে বাংলা এগিয়ে যাবে। আদালতে ঢোকার মুখেও জিতেন্দ্র তিওয়ারি মন্তব্য করেন যে, শেষ কথা পুলিশ বলবে না। শেষ কথা বলবে আসানসোলের মানুষ। ২০২৪ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, আসানসোলের মানুষ জবাব দেবেন।
কম্বলকাণ্ডে শনিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করে। রাতেই দমদমের একটি হাসপাতালে জিতেন্দ্রের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। তার পর তাঁকে নিয়ে সোজা আসানসোল পৌঁছন তারা। সেদিনই রাত ২টো নাগাদ আসানসোলে উত্তর থানা থেকে পুলিশ তাঁকে বের করেন। আজই তোলা হবে আদালতে।
আরও পড়ুন: Fire At NT-1 Studio | টালিগঞ্জের এনটি ওয়ান স্টুডিওতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
গত ২৩ ফেব্রয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট কম্বলকাণ্ডে জিতেন্দ্র এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালির আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করে। তার পর থেকে তাঁদের বাড়িতে তালা দেওয়া। এর পর শনিবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
উল্লেখ্য, ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে কম্বল বিতরণ ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। ওই কর্মসূচির উদ্যোক্তা ছিলেন জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি। সেই ঘটনায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি, চৈতালি তিওয়ারি সহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল থানায়। সেই ঘটনায় নয়ডা থেকে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।
বিজেপির অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জিতেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। এভাবে জিতেন্দ্রকে আটকে রাখা যাবে না। আমরা শেষ দেখে ছাড়ব। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, যে গরিব মানুষগুলো মারা গেলেন, তাদের মৃত্যুর দায় কে নেবে। ঘটনার পর জিতেন্দ্ররা পালিয়ে গিয়েছিলেন কেন। তাঁদের তো উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসা উচিত ছিল।