কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের ছাত্রের (Student) রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ পকসো (Pocso) মামলা যুক্ত করতে চলেছে। এমনটা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। শিশু সুরক্ষা অধিকার আয়োগের (CPRC) প্রতিনিধিরা থানায় যাচ্ছে। তাঁরা হস্টেলে যাচ্ছেন। ওই ছাত্রের রুমে যাচ্ছেন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। কারণ মৃত ওই ছাত্রের ১৮ বছর পূর্ণ হয়নি। তাই পকসো মামলা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তাকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রর মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা রাজ্যপালকে চিঠি দিল রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন। চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও। রবিবার রানাঘাটে মৃত ওই পড়ুয়ার মামার বাড়িতে যান শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সদস্যরা। কমিশনের চেয়ারম্যান অনোন্যা চট্টোপাধ্যায় সহ কমিশনের সদস্যরা সেখানে কথা বলেন মৃতের মা-বাবা-ভাইয়ের সঙ্গে। এদিকে, এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের কাছ থেকে একটি মিছিল শুরু হয় এদিন। দোষীদের শাস্তির দাবিতে ওই মিছিল হয়। যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যু তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। মেন হস্টেলে গেস্ট হিসেবে ওই ছাত্র অপর ছাত্র মনোতোষ ঘোষের ঘরে থাকলেও অন্য একটি ঘরে চলছিল ওই ছাত্রের সঙ্গে পরিচয় পর্ব। সেখানে ছিল মনোতোষ, দীপশেখরের মতো ছাত্ররা। ছিল প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরী সহ অন্যান্যরাও।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে পড়ুয়া-মৃত্যু নিয়ে রাজনীতির আসরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ
এদিকে যাদবপুর ক্যাম্পাসে ছাত্রমৃত্যু মামলায় গ্রেফতার দুই পড়ুয়াকে ২২ অগাস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এরপর এদিনই তাঁদের দু’জনকে আদালতে তোলা হয়। শুনানিতে ওই দুই পড়ুয়ার আইনজীবী আদালতকে জানায়, ছাত্রমৃত্যু মামলায় পুলিশের কাছে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে তাতে মনোতোষ এবং দীপশেখরের নাম নেই। যার পাল্টা জবাবে রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানায়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্ত করতে গিয়ে অনেকের নাম উঠ এসেছে। সবার নাম এফআইআরে নাও থাকতে পারে। তাই এঁদের পূর্ণ মেয়াদের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হোক। দুপক্ষের শুনানির পরে অবশেষে আদালত ওই দু’জনকে ন’দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে।