কলকাতা: সিভিক ভলান্টিয়ারদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজে কেন লাগানো হচ্ছে, প্রশ্ন তুলল বিরোধীরা। কলকাতা হাইকোর্টের পরিষ্কার নির্দেশ আছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কাজে লাগোনা যাবে না। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ মেনে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য সম্প্রতি আদালতে হলফনামায় জানিয়েছেন, সিভিক ভলান্টিয়াররা কী কী কাজ করতে পারবেন, আর কী কী করতে পারবেন না।
বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা শনিবার অভিযোগ করেন, আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বের প্রথম দিন থেকেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগাচ্ছে প্রশাসন। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের রানিনগরে মনোনয়ন নিয়ে গোলমালের সময় সিভিক ভলান্টিয়াররা লাঠি চার্জ করেছে। শনিবারও মুর্শিদাবাদ-সহ একাধিক জেলায় মনোনয়ন ঘিরে গোলমালের সময় সিভিক ভলান্টিয়ারদের সক্রিয় ভূমিকায় দেখা গিয়েছে। অনেক জায়গায় তাঁদের লাঠি হাতে তেড়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। বিরোধীরা আরও বলছেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের কাজে না লাগানোর কথাই আছে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election 2023 | মনোনয়নের দ্বিতীয়দিনে রাজ্য জুড়ে শাসক-বিরোধী খণ্ডযুদ্ধ
শনিবার বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভোটের কাজে কিংবা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজে লাগিয়ে রাজ্য সরকার আদালত অবমাননা করেছে। গতকাল রানিনগরে তাঁরা লাঠি চার্জ করেছেন। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। সোমবার আমরা বিষয়টি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। রাহুল বলেন, আদালতের পরিষ্কার নির্দেশ, ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং আরও কিছু পরিষেবা ছাড়া আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলানো কিংবা ভোটের কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না।
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, পুলিশে নিয়োগ বহুদিন ধরে বন্ধ। থানাগুলি এখন সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়েই চলে। এখন দেখছি, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বেও তাঁদের ব্যবহার করা হচ্ছে। একই অভিযোগ কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীরও। কৌস্তভ জানান, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন। শুক্রবারই কংগ্রেস এবং বিজেপি মনোনয়নের সময় এবং পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে আলাদা করে মামলা দায়ের করেছে। সোমবার ফের সেই মামলার শুনানি চলবে। কলকাতা হাইকোর্ট সেদিন রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিতে বলেছে।