Thursday, June 19, 2025
HomeফিচারRain and Sigh | ফিনফিনে শাড়ি, বৃষ্টি আর অনন্ত দীর্ঘশ্বাস...

Rain and Sigh | ফিনফিনে শাড়ি, বৃষ্টি আর অনন্ত দীর্ঘশ্বাস…

Follow Us :

ইটস রেনিং ইটস হট রিয়েলি হট

বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ…

তামাকপায়ীদের বলছি না। যাঁরা আয়েশে সুখটান দেন, তাঁরা জানেন, সিগারেট বা চুরুটের মশলার প্যাকেটে কী লেখা থাকে… cigeratte smoking is injurious to health. তবুও পান করেন। আসলে সবটাই নেশা। এটাও নেশা। এই নেশার নাম সাহিত্য-পান। তবুও বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ থাকে। থাকা উচিত। এ লেখাতেও আছে।

প্লিজ, রক্ষণশীলরা এ লেখা পড়ার দুঃসাহস দেখাবেন না। রক্ষণকে বেড়া দেওয়ার বা রক্ষণের কোনও রক্ষণ এ লেখাতে নেই। সবটাই অ্যাটাকিং গেম। আসলে ওই যে কথায় আছে না, অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স। এ লেখার পরতে পরতে নিষিদ্ধ হাতছানি, মানে গোদা বাংলায় সেই সোনার পাথরবাটির মতো যৌনতার জামবাটিতে পরিপাটি করে সাজানো একবাটি খাসি, দু’পিস রুমালি আর বাঁশকাঠি চালের সাদা ফিনফিনে দুমুঠো ভাত। ছুটির দুপুরে জম্পেশ এই খানায় যেমন মৌতাত মাখোমাখো, ঠিক তেমনই মৌতাত আছে আরও নীচে, নীচে, আরও নীচে, আরও নিচে। চুপটি করে ছুটির আগের রাতে পড়ুন। কারণ ঘুম উড়তে পারে। স্বপ্নে কিলবিল করতে পারে ধোঁয়া ওঠা সুইমিং পুলে একঝাঁক সেমি-নগ্নিকার উদ্দাম জলকেলি আর না হলে সেই হস্টেলের ফুটন্ত জীবনের নাড়া দেওয়া স্মৃতি রোমন্থন। সেই যে এক্স-টু এক্স-ত্রি এক্সের গোপন আসর। সাহেব-মেমদের কী হায়ালজ্জা থাকতে নেই গো। শীতের দেশে কথা নেই বার্তা নেই উদোম গায়ে সে কী উষ্টুমধুষ্টুম! বর্ণে-গন্ধে-ছন্দে-পর্নে তুমি যে দিয়েছ দোলা। কী কাণ্ড রে বাপ!
স্বপ্নিল ফেননিভ আদিম রাতের উদোম হিম, বৃষ্টিস্নাত দুপুরে আড়মোড়ায়িত আয়েশি আঘ্রাণ, সাদা কাপড়ভেদী তাড়না, কপাল থেকে নেলপলিশ লাগানো পায়ের বুড়ো আঙুল ছুঁয়ে অবারিত বৃষ্টিধারা, যে ধারা ছুঁয়ে যায় পুরুষমনের প্রতিটি আকাঙ্ক্ষার অলিগলি। দীর্ঘায়িত দীর্ঘশ্বাস কামনার কপিকলে বাঁধা ধুকপুক ধুকপুক শব্দদানব গভীর রাতের বুক চিরে যেন ফেটে পড়তে থাকে অস্ফুট শৃত্কারের নগ্নধ্বনি।
তারপর সব শেষ
একরাশ ক্লান্তি
নিথর শরীর
এলোমেলো মন
উষ্ণ শরীর থেকে নিভে আসা উষ্ণতা
ঘুমের দফারফা
পরদিন অফিস বাঙ্কের গল্প নেই, কারণ পরদিন ডে অফ।

শুরুটাই যে দৃশ্য দিয়ে…
তামিল ছবি। বিদ্ঘুটে একটা নাম। হিন্দিতে ডাবিং হয়েছিল। নামটা বলছি না। হেব্বি হিট। দক্ষিণে সাড়া ফেলে দিয়েছিল একটা সময়। সে কিছুকাল আগের কথা। শুরুর দৃশ্যেই বাজিমাত। উষ্ণতার আতরে জারিত শরীরী কামনায় থরোথরো। বৃষ্টির মেজাজি ব্যাটিং। জলের ফোঁটার সঙ্গেই ক্যামেরা প্যান করে ধরতে থাকে ব্যথা জাগানিয়া জঙ্ঘা। আরও ডিটেলে আসি, না-হলে মজাটাই মাটি।

যেন কড়াপাকের চমচমের শরীর জুড়ে ক্ষীরের চাদর লেপ্টে আছে। ক্ষীরে কামড় বসালেই টইটুম্বুর রস-কাহিনী। ঠোঁটের দুপাশ বেয়ে আলুলায়িত রসভাণ্ডার, আলুলায়িত কামনার সসীম আত্মহনন, রসের গন্ধে আর কয়েক পা এগোলেই ত্রিকোণমিতির অঙ্ক কষা শুরু। নাভিরঙা শাড়ির বুক চিরে গহিন অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়ার পথ। পিচ্ছিল সে পথে অনন্ত গভীরতা। লাল মাটির রাস্তাতেও যে শ্যাওলা গজিয়ে ওঠে, জেনে ওঠা হয় না। বৃষ্টি না পড়লে জানা হয় না, শরীর জুড়ে সোঁদা গন্ধ জন্ম না নিলে জানা হয় না, তাই তো বৃষ্টির বড় দরকার। পর্দা-ঘেরা চোখ থেকে পর্দা সরানোর কাজটাও যেমন আয়েশে সম্পন্ন করে, ঠিক তেমনই বৃষ্টিস্নাত দুপুরে জানিয়ে দিয়ে যায় যে পিচ্ছিল ওই পথে পা রাখা বড় মোলায়েম।
ফিরে আসা…

কচি বয়সে পাড়ায় পাড়ায় ভিডিও হলের গজিয়ে ওঠা দেখা। ভিতরে কী চলত, জানার উপায় ছিল না। গোঁফ না গজালে নো এন্ট্রি। আঠারো-ফাটারোর অত কড়াকড়ি ছিল না বটে, তবে ভিডিও অপারেটর চেনা মুখ হলে তো ধারে ঘেঁষাই কঠিন। তবে দু-এক পিস বখাটে বন্ধু যে ঢুঁ মারত না অন্ধকার ঘুপচি হলঘরে, তা নয়। টিফিন টাইমে পাঁচিল টপকে দে ছুট লাস্ট বেঞ্চের কিছু বদ ছোকরা। তাদের দু-একজনের মুখেই শোনা সিনেমায় বৃষ্টির কী মাহাত্ম্য। হলের ভিতর জমজমাট ‘বই’। কোনও রুপোলি পর্দার ওপর নয়, একুশ ইঞ্চি রঙিন টিভির ওপর ভেসে বেড়াচ্ছে গল্পের সব চরিত্র। পাশেই রাখা কালো বাক্সের একটা যন্ত্র, জাপানি কোম্পানির ভিডিও ক্যাসেট প্লেয়ার। চওড়া ফিতওয়ালা ক্যাসেট ঢুকে যায় ভিসিপির গহ্বরে। ঘুরে ওঠে স্টিলের গোল চাকা। জড়িয়ে যায় দেহবোধ আর মৃদু যৌনতার ইশারা সংবলিত ক্যাসেটের কালো ফিতে সেই চাকার গায়ে, ইলেকট্রনিক্স কর্ড বেয়ে সেই ইশারা ফুটে ওঠে টিভির সামনে কাচের ইলেকট্র্ন-এ। শুরু হয় বৃষ্টি। বিচিত্র সুরওয়ালা গানের হাত ধরেই আসে মেয়েটি। চোখেমুখে লেগে থাকে আহ্বান। গায়ে ফিনফিনে সাদা শাড়ি, বুকে সাদা ব্লাউজ, পিছনে শুধু একটা সাদা দড়িতে আলতো একটা গিঁট। মসৃণ উদোম পিঠ। নাভির নিচে শুরু শাড়ির দ্বিতীয় পরত। খালি পা, পায়ে রুপোর নূপুর, পায়ের সুন্দর করে কাটা আঙুলে মিষ্টি রঙের প্রলেপ, নাভির গভীর গর্তের উপর বেড় দিয়ে জড়ানো সরু রুপোর চেন, সামনে ছোট্ট দুটো ঝুমকো দিয়ে আড়াল করা। তাতে কি আর আড়াল থাকে। যেন পদ্মপাতায় টলটলে একবিন্দু জল। বৃষ্টির ফোয়ারা নামতেই ভিজতে থাকে শরীর, বাড়তে থাকে উষ্ণতা, জাগতে থাকে শরীর, ঘুম ভাঙে কামনা। সাদা ব্লাউজের নিচে যে কোমলতার উপাদান, বৃষ্টি এসেই উন্মুক্ত করে দিল সেই কোমলতা। বুকে লেপ্টে থাকা সাদা ব্লাউজ ভেদ করে চোখের সামনে তখন যৌনতার বেলাভূমি। বিস্ফারিত দুচোখ তখন দৃষ্টিসুখের অবাধ বারিধারায় ভিজছে চুপচুপ। দুই কালো ভ্রমর তখন মুক্তির নেশায় ছটফটাচ্ছে। দুই বুকের গভীর খাঁজ বেয়ে তখন অবাধ্য জলরাশি নিম্নগামী। নাভির গভীরতায় হারিয়ে যাওয়ার নেশায় দুদ্দাড় দাপাচ্ছে ফোঁটাগুলি। আর তার পরেই যেন অসাড় হয়ে আসে দুচোখ। চোখের সামনে মাখনের পেলবতা, জলভরা দুটি কলসি যেন উপুড় হতে ব্যস্ত, মসৃণ দুই কলাগাছের গুঁড়ি তখন ভিজছে আকণ্ঠ। বাসনার ঘুণপোকারা তখন কুরে কুরে খাচ্ছে মস্তিষ্কের কোষগুলি। অন্ধকার ভিডিও হলের ভিতরের বাতাস তখন ভারী। আবছা টিভির আলোয় নিজেদের মধ্যে ঠেলাঠেলি করে একটা হাত ঘোরাফেরা করে তাদের কোমরের নিচে, কেউবা টিভির পর্দা ছুঁতে চায়, সিন রিপিটের জন্য চিত্কার। তখন রিওয়াইন্ড করে ক্যাসেটের কালো ফিতে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দিতে হয় খানিকটা। আবার সেই সদ্য-দেখে-ফেলা দৃশ্যের অবতারণা, কোমরের নিচে হাতের গতি বাড়তে থাকে, নিঃশ্বাস আরও ঘন হয়, আরও ঘন, হঠাত্ই তখন শরীর থেকে মুক্তি ঘটে সাদা শাড়িটির, তখন সে নাভিরঙা শাড়ি বারবার বদলাতে থাকে কামনার দৃশ্যপট। মিলনপিয়াসী শরীরে তখন উথালপাথাল ঢেউ। বৃষ্টির ছাঁটে কমার থেকে বরং বাড়তে থাকে উষ্ণতা। ভিডিও হলটি তখন হয়ে ওঠে একফালি পর্ন-কুটির। বৃষ্টি পড়তেই থাকে, সে পড়ার কোনও শেষ নেই। এক সিন থেকে আরেক সিন, এমনই চলতে থাকে সিনান্তর। কিন্তু বৃষ্টির রঙ বদলায় না, কামনার রঙ আরও গাঢ় হয়।
জল পড়ে আগুন ধরে..
আশ্চর্য আখ্যানই বটে। তা না হলে আগুন নেভায় যে জল, সেইই কিনা জ্বালিয়ে দিচ্ছে আগুন। রুপোলি পর্দায় ভেসে বেড়ায় নায়িকার শরীর, আর সেই শরীরে ভেসে বেড়ায় বৃষ্টির ফোঁটা, দর্শকমনে তখন ভেসে বেড়ায় কামনার পোকামাকড়…
সিনেমা এবং…
সিনেমা মানে বিনোদন। সিনেমা মানে গল্প। সিনেমা মানে প্রেম। সিনেমা মানে গান। সিনেমা মানে নাচ। সিনেমা মানে বৃষ্টিতে ভিজে রোম্যান্স। সিনেমা মানে চুমু। সিনেমা মানে বিছানা। সিনেমা মানে নগ্নতা। সিনেমা মানে সেক্স। সিনেমা মানে কমপ্লিট প্যাকেজ। সেই প্যাকেজেরই একটা অংশ বৃষ্টি। কে জানে কোথা থেকে বৃষ্টি আসে, বর্ষা না এলেও, মেঘ না ডাকলেও বরুণ দেবতার কৃপাদৃষ্টি পড়বেই। শুধু প্রেম জমে ওঠার অপেক্ষা। প্রেমিকের সাদা ফিনফিনে জামা, কালো প্যান্ট আর প্রেমিকার সাদা ফিনফিনে শাড়ি এবং কিচ্ছু না…একদম জমে আইসক্রিম। ঠোঁটে, নাকে, চিবুকে, গালে মেখেটেখে একশা। প্রেম জাগানিয়া, সেক্স উথলে ওঠা বৃষ্টির দৃশ্য। তারপর তো ঠোঁটে ঠোঁট আর বিছানায় ধামসাধামসি। কী পরম নিপুণতায় কোমর পর্যন্ত ঢাকা দেওয়া নায়ক-নায়িকার শরীর। ঊর্ধ্বাঙ্গ আবরণহীন। হাত আর কাত-হওয়া শরীরের পাশ দিয়ে একঝলক নগ্ন স্তনে উঁকি, এ যেন সিনেমায় বড়ই জলভাত। কোনও দৃশ্য দেখে সিনেমা হলে কতগুলো সিটি পড়ল, সেটাই কিন্তু সেই ছবির এক মস্ত টিআরপি আর এই টিআরপি-তে অনেকটা এগিয়ে থাকবে বৃষ্টির সেই দৃশ্যগুলি, যেখানে অনন্তকাল ভিজতেই থাকে নায়িকা-শরীর, তবুও ঠান্ডা লাগে না, হ্যাঁচ্চো করতেও দেখা যায় না বৃষ্টিভেজা নায়িকাকে। অদ্ভুত এক মায়াবি খেলা। যে খেলায় আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে এক নারী শরীরের চড়াই-উতরাই, অলিগলি, শিখরচূড়া বা অন্ধকার গুহা…     
সেই সব লাস্য…

কখনও ভালবাসা, কখনও তীব্র কষ্ট ও হতাশা, কখনও বিরহ কখনও আবার যৌনতার অনুষঙ্গ। বাণিজ্যিক ছবি মানেই বৃষ্টিতে গানের দৃশ্য চিত্রায়নের মূল উদ্দেশ্য অভিনেতা-অভিনেত্রীর বৃষ্টিভেজা দেহ প্রদর্শন। মাঠেঘাটে, সমুদ্রতটে বা মনোহারী আইল্যান্ড হলে তো ভালই, তা না হলে স্টুডিওর অভ্যন্তরেও ঘনিয়ে আসে মেঘ, নামে কৃত্রিম বৃষ্টি, বৃষ্টিভেজা গানে লাগে আগুনের পরশ, রচিত হয় কালজয়ী কিছু গান। দর্শকমনে গ্রথিত হয় নায়িকার শরীরের আঁকবাঁক, বৃষ্টিতে যা হয়ে ওঠে আরও দৃশ্যমান। চোলিকে পিছে বা চোলিকে নিচে তখন নধর জবানির জলকুসুম। প্রাপ্তবয়স্ক রসের আড্ডার তুমুল হর্ষধ্বনির উত্স। মুখে মুখে ঘুরতে থাকে চিক্কন নায়িকার শরীরী বিভঙ্গ। ফাটাফাটি তর্ক জোড়ে চায়ের ঠেকে। কার নাভি কতটা গভীর, কাজল না শিল্পা শেট্টি। কার বুকের চড়াই মনে কতটা দাগ কাটে, শ্রীদেবী নাকি মনীষা কৈরালা। কার নিতম্বের দোলায় বুকে কতটা মোচড় লাগে, স্মিতা পাটিল নাকি রেখা। জল পড়ে কার ঠোঁটে কতটা আগুন, ঋতুপর্ণা নাকি স্বস্তিকা। কার বুকে কতটা ওম, মিমি নাকি পায়েল, ভাঁড়ের পর ভাঁড় শেষ হয়ে যায়, কিন্তু এ তর্ক থামার নয়। কখনও শাড়ি কখনও ফ্রক, কেউই ঢাকে না কিছু, জল পড়লেই কেল্লা ফতে। ফর্সা পা, সপাট পেট, নিম্ননাভির আড়াল তখন খু্ল্লামখুল্লা রসনার তৃপ্তি লাগি…
 
গরম শরীরের বিচারের ভার নরম পাঠকের হাতে…

1942- এ লাভ স্টোরি ছবিতে রাহুল দেব বর্মণের অসাধারণ সুরে কুমার শানুর গাওয়া রিমঝিম রিমঝিম গানের বিন্দু বিন্দু বৃষ্টিতে মনীষা কৈরালা।
নিমক হালাল-এ অমিতাভ-রেখার সে কী ডুয়েট, আজ রাপাট যায়ে কিশোর কুমারের গলা বেয়ে স্মিতার শরীরে ছড়িয়ে পড়ে আগুন।
চালবাজ ছবিতে না জানে কাহাসে আয়ি হ্যায় গানে শ্রীদেবী।
দিল তো পাগল হ্যায় সিনেমায় কোই লাড়কি হ্যায় গানের সঙ্গে  মাধুরীর অসাধারণ নাচ।
শ্রী 420 ছবিতে বৃষ্টিভেজা রাজপথে নার্গিস ও রাজ কাপুরের হেঁটে চলা। বুকে কাঁপন ধরানো নার্গিসের বৃষ্টিস্নাত শরীর। তার সঙ্গে পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া-র মতো ক্লাসিক গান।
চলতি কা নাম গাড়ি সিনেমায় বৃষ্টিমুখর রাতে নায়ক কিশোর কুমারের জীবনে আসে মধুবালীরুপী সেক্স গডেস। জলপতনের মধুর শব্দ আর এক লাড়কি ভিগি ভাগি সি।
চামেলি ছবিতে করিনা কাপুরের সঙ্গে রাহুল বোসের বৃষ্টিমুখর রাতের সেই কামনায়িত বাসনা, সঙ্গে ভাগো রে মান গানটি।
সুভাষ গাইয়ের তাল সিনেমার অঝোর বর্ষণ, সবুজ শৈলশ্রেণি, ঐশ্বর্য রাইয়ের বৃষ্টিভেজা শরীরের তাজা আঘ্রাণ, কোমরের নাচন, নাভির গভীরতা আর এ আর রহমানের সুর তাল সে তাল মিলা যেন এক অনন্য ঐকতান।

গুরু ছবিতে শ্রেয়া ঘোষালের গলায় বারসো রে গানের সঙ্গে পাহাড়ি জলপ্রপাত ও ঐশ্বর্যার নাচ, মন্দিরের ভাস্কর্য ও গ্রামের বরষামুখর দৃশ্য।
রাজ কাপুরের সত্যম শিবম সুন্দরম ছবির ক্লাইম্যাক্সের ভিতর প্রবল বৃষ্টির ভিতর শশী কাপুরের খুঁজে পাওয়া জিনাত আমনকে। সেই সঙ্গে গান সত্যম শিবম সুন্দরম।
কল্পনা লাজমির রুদালি ছবিতে খরাপীড়িত রাজস্থানের গ্রামে ডিম্পল কাপাডিয়া বৃষ্টিতে বাড়িয়ে দেয় হাত, ফুটে ওঠে আকাঙ্ক্ষা।
মোহরা ছবিতে টিপ টিপ বারসে পানি-র সঙ্গে রবীনা টেন্ডনের সেক্সি নাচ পানিতে আগ লাগিয়ে দেয়।
মিস্টার ইন্ডিয়া ছবিতে কাটে নেহি কাটতে গানের দৃশ্যে শ্রীদেবী।
চাঁদনি ছবিতে লাগি আজ শাওন কি গানে শ্রীদেবীর নাচ।
ফানা ছবিতে ইয়ে সাজিশ হ্যায় বুন্দো কি গানে বৃষ্টিভেজা কাজল।
দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে ছবিতে মেরে খোয়াবো মে যো আয়ে গানে কাজলের নাচে আবেদনের ইতিবৃত্ত।
ফারার ছবিতে অমিতাভ ও শর্মিলা ঠাকুরের বৃষ্টিস্নাত পর্দা-রোমান্স জমে ওঠে ম্যায় পিয়াসা তু শাওয়ান গানের সঙ্গে।
পিয়াসা শাওন ছবিতে মেঘা রে মেঘারে গানে জিতেন্দ্র ও মৌসুমি চ্যাটার্জির রোমান্স।
আয়া শাওন ঝুমকে ছবিতে আয়া শাওন গানের সঙ্গে আশা পারেখ-ধর্মেন্দ্র।
অভিনেত্রী ছবিতে ও ঘাটা সাওয়ারি গানে শশী কাপুর-হেমা মালিনী।
আজনাবি ছবিতে ভিগি ভিগি রাতো মে গানে রাজেশ খান্না-জিনাত আমান।
বেতাব ছবিতে বাদল ইয়ু গরাজতা হ্যায় গানে অমৃতা সিং-সানি দেওল।
হামতুম ছবিতে সাসো কো সাসো মে গানের সঙ্গে সাইফ-রানির রোমান্স।
দেবদাস ছবিতে সিলসিলা ইয়ে চাহাত কা গানের দৃশ্যায়নে ঐশ্বর্যার নৃত্যভঙ্গিতে ফুটে ওঠে ভালবাসার নিবিড়তা।
সারফরোস ছবিতে জো হাল দিল কা গানে সোনালি বেন্দ্রের আগুনঝরানো লাস্য।
বাঘি ছবিতে টাইগার শ্রফ ও শ্রদ্ধা কাপুরের বৃষ্টিভেজা চুমুর দৃশ্য।
গোপালা ছবিতে চাঙ্কি পাণ্ডে ও রূপা গাঙ্গুলির বৃষ্টিভেজা ও শয্যাদৃশ্য।
পদ্মা নদীর মাঝি ছবিতে সুমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে পুকুরে ভিজে কাপড়ে ঘনিষ্ঠ রূপা গাঙ্গুলি।
লাল গোলাপি অঙ্গ আমার…
গভীর হয় রাত। পর্দায় সদ্য দেখা ফরসা মেয়েটায় বুঁদ। না-দেখা সেই ন্যাংটো দেহের টানে আকাশপানে দুহাত তুলে বৃষ্টির জন্য কাতর আবেদন। বৃষ্টি নামলে কল্পনায় নেমে আসবে রাতপরিরাও। যাদের শরীরেও থাকবে না তেমন কোনও পোশাক, প্রায় নগ্ন শরীরে উথালপাথাল ঢেউ বইবে, যে ঢেউয়ে দুলে উঠবে বাতি, কঠোর হবে পৌরুষ, ফিনফিনে রাতপোশাক ভেদ করে মাখনে ডুবে যাবে দুটি হাত, নেমে আসবে কোমরে, আলতো চাপে নারীত্বের গভীরে ডুবে যাবে উদ্ধত পৌরুষ। আখ পেষাইয়ের মেশিনটা অনন্তকাল চলতেই থাকবে, চলতেই থাকবে, চলতেই থাকবে, পর্দায় বৃষ্টি নামার প্রার্থনা আমূল বদলে যাবে শরীরে বৃষ্টি না-নামার আকুতিতে। এমনই চলতে থাকুক। অসহ্য সুখ। বৃষ্টিরা দাঁড়িয়ে থাক অন্ধকার গভীর গুহার ওপারে…

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Benjamin Netanyahu | এবার টুকরো হবে, ইজরায়েলকে আকাশেই চরম জবাব ইরানের, কোথায় পালাবেন নেতানিয়াহু?
00:00
Video thumbnail
Iran-Israel | পুতিনের সমর্থনে চাঙ্গা খামেনি, ট্রাম্পকে চরম হু/ঙ্কার, ইজরায়েলের কী অবস্থা করবে ইরান?
00:00
Video thumbnail
100 Days Work | ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের, দেখুন বড় খবর
00:00
Video thumbnail
Iran-Israel | ইজরায়েলকে সমর্থন ট্রাম্পের ইরানকে সমর্থন পুতিনের, তৃতীয় বিশ্বযু/দ্ধ লেগেই গেল!
00:00
Video thumbnail
Politics | বিজেপিই ভরসা সব দাগ ফরসা
03:30
Video thumbnail
Politics | বিজেপি মেতেছে তরজায় আরএসএস 'পাড়ায় পাড়ায়'
03:22
Video thumbnail
Politics | ট্রাম্পের দাবীকে এবার বাতিল করল সরকার
03:50
Video thumbnail
Bangla Bolche | ব/ঞ্চনার ইতিহাসের শিকার বাংলা?
03:44
Video thumbnail
Bangla Bolche | ব/ঞ্চনা কি শুধু বাংলাকেই?
03:13
Video thumbnail
Benjamin Netanyahu | এবার টুকরো হবে, ইজরায়েলকে আকাশেই চরম জবাব ইরানের, কোথায় পালাবেন নেতানিয়াহু?
05:18:55