রানাঘাট: রানাঘাটে (Ranaghat) স্বর্ণ বিপণি শো রুমে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার কুন্দন কুমার সিংই কয়লা মাফিয়া রাজু ঝায়ের (Raju Jha) খুনি। ধৃতকে জেরা করে এমনই বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছে নদিয়া (Nadia) জেলা পুলিশ (Police)।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, রানাঘাটের ডাকাতির ঘটনায় এই কুন্দন কুমার ছিল মূল মাথা। রানাঘাটের সোনার দোকানে লুট চালানোর আগে কল্যাণীতে দীর্ঘ দেড় মাস ঘর ভাড়া করে থাকছিল সে। পাশাপাশি বিহারের বৈশালী জেলার এই শার্প শুটার কুন্দন কুমার রাজু ঝা’র শুট আউটের ঘটনার পর দীর্ঘ দিন বিহারে লুকিয়ে ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বসিরহাট সংশোধনাগারে বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু
১ এপ্রিল রাত ৮টা নাগাদ শক্তিগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে গুলিতে খুন হন আসানসোল অঞ্চলের কয়লা মাফিয়া বলে পরিচিত রাজু ঝা। কে বা কারা খুন করল, তা নিয়ে পুলিশ অন্ধকারে ছিল। এবার রানাঘাটের সোনার দোকানের শো রুমে ডাকাতির তদন্ত সূত্রে নাম উঠে এল কুন্দনের। জানা গেল, রাজু খুনেরও অন্যতম মাথা এই কুন্দন।
পুলিশ সূত্রে খবর, রানাঘাটের ডাকাতির ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রাজু পাসোয়ান, রিক্কি পাসোয়ান এবং মণিকান্ত যাদবের বাড়ি বিহারের বৈশালীতে। কুন্দনের হাত ধরেই এই তিন জনের অপরাধ জগতে প্রবেশ। পুলিশ আরও জানিয়েছে, রাজু এবং রিক্কিকে শার্প শুটার হিসাবে নিয়োগ করেছিল এই কুন্দনই।
প্রসঙ্গত, ২৪ মে ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের ঘটনাতেও উঠে এসেছিল বিহার গ্যাংয়ের নাম। রানাঘাটে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায়ও কি এই গ্যাংয়ের হাত রয়েছে? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।