টেমসের তীরে ঋষির উদয় হল। যে দেশে একসময় ইংরেজরা শাসন করেছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দু পরিবারের ঋষি সুনক। ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেলে বাকিংহাম প্যালেসে যান তিনি। সেখানে রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছ থেকে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। ৪২ বছর বয়সি ঋষি হলেন ২০০ বছরের মধ্যে ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। দায়িত্ব নেওয়ার পরে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে প্রথম ভাষণে শক্তিশালী অর্থনীতি ও ব্রেক্সিটের স্বপক্ষে সুযোগ তৈরির জন্য সওয়াল করলেন তিনি।
সুনক জানিয়েছেন, তাঁর সরকারের অ্যাজেন্ডার মূলে থাকবে আর্থিক স্থিরতা ও দৃঢ়তা। এর জন্য অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। করোনার সময় মানুষকে রক্ষা করতে যেভাবে কাজ করা হয়েছে তা এখানকার মানুষ দেখেছেন। এমন অর্থনীতি তৈরি করা হবে যাতে ব্রেক্সিটের সুযোগ কাজে লাগানো যায়।
এদিকে, ঋষি সুনক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরে তাঁকে শুভেচ্ছার বন্যা বইছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন, শুভেচ্ছা এসেছে বিভিন্ন স্তর থেকে। নরেন্দ্র মোদি ঋষি সুনককে দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারত ও ব্রিটেনের ‘জীবন্ত সেতু’ বলে অভিহিত করেছেন। ট্যুইট করে তিনি জানান, ব্রিটেন ও ভারত আন্তর্জাতিক ইস্যুতে নিবিড়ভাবে একসঙ্গে কাজ করবে। দুই দেশের ঐতিহাসিক চুক্তিগুলিকে দ্রুত কার্যকর করা হবে।
আরও পড়ুনWhatsApp: বিশ্বজুড়ে বিভ্রাটের পর আবার স্বাভাবিক হোয়াটসঅ্যাপ, চলতি বছরে এটাই সর্বাধিক
সোমবারই রাতে টুইট করে মোদি শুভেচ্ছা জানান ঋষি সুনককে। বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস তাঁর শেষ ক্যাবিনেট বৈঠকের পরে বলেন, আমাদের দেশ এখন ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আগামীতে ‘উজ্জ্বল দিন’ আসছে। রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইকে ঋষিও এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে ট্রাস আশা করেন। সোমবারই ঋষি সুনক জানিয়েছিলেন, নিঃসন্দেহে ব্রিটেন বড় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এখন দরকার স্থিরতা এবং একতা। এদিনও সেকথা ফিরে এসেছে তাঁর বক্তব্যে।
রাণি এলিজাবেথের মৃত্যুর পর রীতি অনুযায়ী রাজা তৃতীয় চার্লস এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রীকে নিযুক্ত করলেন। রাণী মৃত্যুর দুদিন আগে লিজ ট্রাসকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করে গিয়েছিলেন।