রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে(Draupadi Murmu) অপমান করার জন্য মন্ত্রী অখিল গিরিকে (Akhil Giri) অপসারণ করতে হবে, এই দাবিতে সোমবার বিজেপি(BJP) বিধানসভায়(WB assembly) মুলতুবি প্রস্তাব আনে। সেই প্রস্তাব স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Speaker Biman Banerjee) খারিজ করে দেওয়ায় বিজেপি সদস্যরা ওয়াকআউট(walkout of BJP members) করেন। পরে তাঁরা বিধানসভার লবিতে ধরনা ও বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিন আদিবাসীদের পাঞ্চি উত্তরীয় পরে এবং রাষ্ট্রপতির ছবি আঁকা স্টিকার বুকে এঁটে বিধানসভা কক্ষে প্রবেশ করেন বিজেপি সদস্যরা। শুরুতেই বিজেপি সদস্যরা মুলতুবি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দাবি করেন। স্পিকার তা না মানায় তাঁরা স্লোগান(sloganeering), চেঁচামেচি(shouting) শুরু করেন। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Opposition leader Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে টানা বিক্ষোভ চলে। ট্রেজারি বেঞ্চের(treasury bench) মহিলা সদস্যরা বিজেপির ওই আচরণের প্রতিবাদে হইচই করেন। হইহল্লায় স্পিকার প্রথমার্ধের অধিবেশন শেষ বলে ঘোষণা করতেই বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে দিতে বেরিয়ে যান।
আরও পড়ুন: Bandel School Incident: ব্যাণ্ডেলে নারায়ণপুর নলডাঙ্গা প্রাইমারি স্কুলে বোমা আতঙ্ক, এলাকায় চাঞ্চল্য
এদিকে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার(Birbaha Hansda) উদ্দেশে আপত্তিজনক মন্তব্য করায় শাসকদলও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে চলেছে। মন্ত্রী জ্যোতস্না মাণ্ডি (Jyotsna Mandi) এদিন বিধানসভার লবিতে এ কথা জানান।
বিধানসভার গত অধিবেশনেও গোলমাল হয়। বিজেপি সদস্যরা সরকারের বিরুদ্ধে পোস্টার (poster), প্ল্যাকার্ড(placard) হাতে নিয়ে হইহল্লা করলে শাসকদলের বিধায়করাও(mla’s of ruling party) ওয়েলে নেমে আসেন। তাঁরাও স্লোগান দিতে শুরু করেন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের (Chandrima Bhattacharya) মতো প্রবীণ মন্ত্রীরা পর্যন্ত তাতে শামিল হন। পরে তা নিয়ে স্পিকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শাসকদলের বিধায়কদের অন্তত সংযত আচরণ করা উচিত ছিল। তিনি জানান, এরপর থেকে বিধানসভার ভিতরে প্ল্যাকার্ড, পোস্টার আনা যাবে না।