নয়াদিল্লি: কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু, এই অবস্থাতেও হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন দলের রাজ্য সভাপতি ডিকে শিবকুমার। বুধবার একদফায় মুখ্যমন্ত্রী পদে মনোনীত সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার ১০ জনপথে গিয়ে সোনিয়া গান্ধী-রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করার পরেও বরফ গলল না। এখনও মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুর্সির দাবি ছাড়তে নারাজ ৮ বারের বিধায়ক শিবকুমার। তাই এদিন সন্ধ্যায় আবার দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
তার আগে শিবকুমার তাঁর দাদা তথা সাংসদ ডিকে সুরেশের বাড়িতে দলের কয়েকজন নেতা এবং সমর্থকের সঙ্গে আলোচনা করে নেন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে। সে কারণে কর্নাট-রাজনীতিতে কংগ্রেসের আকাশে অনেকেই কালো মেঘ দেখতে শুরু করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দাবি ছাড়তে নারাজ অটল শিবকুমার খাড়্গের সঙ্গে বৈঠকের পরেই দাদা ডিকে সুরেশের বাড়ি কাবেরী অ্যাপার্টমেন্টে দলের কিছু নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন। রাজ্য রাজনীতিতে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বেলুরু গোপালকৃষ্ণ, বীরেন্দ্র পাপ্পি, এইচ সি বালকৃষ্ণ, রঙ্গনাথ, ইকবাল হুসেন অন্যতম।
ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল তা থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবকুমার ক্ষমতা বিভাজনের ফর্মুলাতেও অরাজি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে ২০২৫ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে নারাজ তিনি। খাড়্গেকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আপস-সমঝোতায় তিনি কোনওমতেই রাজি নন। এদিকে, কংগ্রেসের কর্নাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাও জানিয়েছেন, কে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন, তা নিয়ে বিজেপি গুজব রটাচ্ছে। ওসবে পা দেবেন না। দল ঠিক সময়েই মুখ্যমন্ত্রীর নাম জানিয়ে দেবে। আর তা আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।
সেই হিসেবে সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঠিক করে ফেললেও শিবকুমারের কাঁটা কী করে গলা থেকে তুলবে হাইকমান্ড তা লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দেখা দিচ্ছে।