কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় একক বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চ ৮৫ পাতার রায়ে শুক্রবার জানিয়ে দিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত যথারীতি চলবে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত বরখাস্ত ২৬৯ জনকে চাকরিতে পুনর্বহাল করা যাবে না। বাকিদের চাকরি বহাল থাকবে।
ডিভিশন বেঞ্চ আরও বলেছে, ফরেন্সিক তদন্তে সিবিআই কোনও হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। একক বেঞ্চের নজরদারিতেই সিবিআই তদন্ত চলবে। সিবিআইকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আদালতে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন হয়েছে কি না, একক বেঞ্চ তার নজরদারি চালাবে। একক বেঞ্চের রায়ে ডিভিশন বেঞ্চ কোনওরকম হস্তক্ষেপ করবে না।
আইনজীবী মহল মনে করছে, ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে রাজ্য সরকার তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বড় ধাক্কা খেল। প্রাথমিকের টেটে নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগে মামলা হয়। অভিযোগ ওঠে, মেধা তালিকায় নাম না থাকা সত্ত্বেও অনেককে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় তালিকা প্রস্তুত করে ২৬৯ জনকে বাড়তি নম্বর দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল করে দেন।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণেরও নির্দেশ দেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতির সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। মানিককে সেইমতো সরিয়ে দেয় রাজ্য শিক্ষা দফতর। পরে একক বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় পর্ষদ। মানিকও তাঁর অপসারণকে চ্যালেঞ্জ করেন ডিভিশন বেঞ্চে। দীর্ঘ শুনানির পর শুক্রবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি লোপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ একক বেঞ্চের রায়েই আস্থা রাখল।