ভোপাল: মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এক মুসলিম যুবককে মারধরের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খান্ডোয়া (Khandwa) শহরে এক তরুণীকে শ্লীলতাহানির (Molesting) অভিযোগে হিন্দুত্ববাদী (Hindutvabadi) নীতি-পুলিশরা ওই মুসলিম যুবককে প্রকাশ্যে লাঠিপেটা করে। মারধরের ওই ঘটনার ভিডিয়ো এ মাসের গোড়ার দিকে ভাইরাল হয়। যাতে দেখা গিয়েছে, শাহবাজ নামে মুসলিম ওই যুবককে ঘিরে ধরেছে একদল লোক। কয়েকটি প্রশ্ন জানতে চাওয়ার পরই একটি শপিং মলের পার্কিং এলাকায় ঘিরে ধরে তাঁকে লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটাতে দেখা গিয়েছে।
শাহবাজ সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন, লাগাতার ৩ ঘণ্টা ধরে তাঁকে মারা হয়। ওরা প্রথমে আমার নাম জানতে চায়। তারপর টেনে এনে মারতে শুরু করে। এর আগে শাহবাজের বিরুদ্ধে পুলিশে একটি শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। খান্ডোয়ার একটি কলেজে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের স্নাতকোত্তর ছাত্র শাহবাজ। এর প্রতিবাদে মুসলিম মহল্লা থেকে শহরে পুলিশ প্রধানের সঙ্গে দেখা করার পরই ৬ জন গ্রেফতার হয়।
এক মুসলিম নেতা জানান, ওর বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে। শাহবাজকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে এই অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ওকে মারধর করা হয়েছে কেবলমাত্র ও মুসলিম বলে। ছেলেটি তার বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলছিল। তার কাছে বই চাইছিল। এটা নিয়েই হিন্দুত্ববাদীরা অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: BJP Uttar Pradesh: সংসার ছেড়ে সপা নেতার মেয়েকে নিয়ে পালালেন ৪৭ বছর বয়সি বিজেপি নেতা!
এদিকে, এই ঘটনার প্রতি দৃষ্টি ঘোরানোর উদ্দেশে হিন্দুত্ববাদীরাও উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের অভিযোগ, ওই যুবক মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। মেয়েটি হিন্দু। সে ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছেলেটি মেয়েটির হাত ধরে টানাটানি করে। এমনকী খুনের হুমকি দেয় বলে হিন্দু সংগঠনগুলি প্রচারে নেমেছে। ওই সময় কাছাকাছি হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কয়েকজন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকায়, তারা বাধা দেয়। এটাকে হিন্দুত্ব শিবির থেকে লাভ জেহাদ বলে চালানোর চেষ্টা চলছে।