পুজো কেটে লক্ষ্মীপুজো চলে এল, আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা সেই তিমিরেই। উৎসবের মরশুমেও একরাশ অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। আন্দোলন ৫৭৪ দিনে পড়লেও রাজ্য সরকারের তরফে কোনও সুরাহা হয়নি। ফলত, প্রতিবাদের পথই চাকরিপ্রার্থীদের একমাত্র রাস্তা। দুর্গাপুজোর সময় মা দুর্গার ছবি, ছোট ছোট ছবি নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের যাবতীয় আনন্দ থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন নিজেদের। লক্ষ্মীপুজোতেও একই পথ বেছে নেওয়া হল। রবিবার কোজাগরী পূর্ণিমার সকালে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে লক্ষ্মী প্রতিমা নিয়ে প্রতিবাদ প্রদর্শন করতে দেখা গেল তাঁদের।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক বাংলার শাহবাজ আহমেদের। রাঁচি ওয়ানডেতে খেলছেন শাহবাজ
ন্যায্য চাকরি পেলে আজ তাঁদের উপর মা লক্ষ্মীর কৃপায় জীবনটা অন্যরকম হতে পারত, কিন্তু তা হয়নি। বরং খালি হাতে দিনের পর দিন বসে থাকতে হচ্ছে রাস্তায়। আদৌ কোনও ইতিবাচক দিশা মিলবে কি না তার ঠিক নেই। এদিকে সাম্প্রতিক কালে শাসকদলের নেতামন্ত্রীদের বিপুল সম্পত্তি উদ্ধারের নমুনা দেখে বিস্মিত এবং ব্যথিত আন্দোলনকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রতিকার করতে ব্যর্থ রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, পুলিশের নির্দেশ মেনে শনিবার কার্নিভালের দিন অবস্থান বিক্ষোভে বসেননি আন্দোলনকারীরা। রেড রোডে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার জন্য শহরের বেশ কিছু রাস্তায় পুলিশের বিশেষ নিয়ন্ত্রণ ছিল, যে কারণে মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোভ শনিবারের জন্য বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল ময়দান থানা। প্রথমে এই নিয়ে কিছুটা দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভকারীদের একাংশ পুলিশের নির্দেশ মানতে রাজি হলেও আর এক অংশ হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে শনিবার মেয়ো রোডে অবস্থান বিক্ষোভে আসছেন না কেউই।