হিমঘর সংরক্ষিত আলু বাজারজাত করার সময়সীমা বাড়াল রাজ্য সরকার। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে (Cold Storage) আলু সংরক্ষণ করার সময়সীমা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই সময়সীমা আরও একমাস বাড়ান হল। রাজ্য প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিমঘরে আলু রাখা যাবে। তারপর হিমঘর থেকে সংরক্ষণ করা পুরানো আলু (Potato) বাজারজাত করতে হবে।
একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে, হিমঘরে আলু রাখার জন্য ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া নেবে না হিমঘর মালিকরা। বাকি ১৫ দিন হিমঘরের আলু থাকলে প্রয়োজনীয় ভাড়া দিতে হবে আলু চাষীদের। বর্তমানে হিমঘরে আলু রয়েছে ১৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য মাসখানেক আগে খোলা বাজারে (Open Market) আলুর পাইকারি দাম একেবারে কমে যাওয়ায় হিমঘরে আলু সংরক্ষণকারীরা বিপদে পড়েছিলেন। এই মরশুমে আলুর দাম নেমে গিয়েছিল একেবারে তলানিতে। অতীতে যা কখনও ঘটেনি। প্রথম দিকে ৫০ কেজি বস্তা পিছু আলুর দাম ৮০০ টাকা ছিল। পরে তা কমতে কমতে ৩৫০ টাকায় নামে। ফলে আলুর দাম এতই কমে গিয়েছিল যে হিমঘর থেকে চাষীরা (Farmer) আলু বের করছিলেন না।
সাধারণত হিমঘরে আলু রাখার পর চাষীরা যে রশিদ পান সেটাই তারা মধ্যস্বত্বভোগীদের (Mediator) কাছে বিক্রি করে দিতেন। আবার এইসব মধ্যস্বত্বভোগীরা বাজারে দাম চড়লে হিমঘর থেকে আলু বের করতেন। কিন্তু বাজারে আলুর দাম কম থাকায় এবার হিমঘরে আলু মজুত ছিল। নভেম্বরে প্রথম দিকে প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ আলু হিমঘরে মজুত ছিল। কিন্তু তারপরেও অবস্থা বিশেষ না বদলানোয় হিমঘরে আলু সংরক্ষণের মেয়াদ ১ মাস বাড়ানো হয়েছে। বাজার (Market) আলুর দাম একটু বৃদ্ধি পেলে চাষিরা বা মধ্যস্বত্বভোগীরা হিমঘর থেকে আলু বাজারজাত করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
হিমঘরে আলু সংরক্ষণে বর্তমানে বস্তা পিছু ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা লাভ পাওয়া যাচ্ছে। নতুন আলু উঠতে শুরু করার কথা ২০ ডিসেম্বরের পর থেকে। এবছর আলুর ফলনও ভাল হয়েছে। তাই নতুন আলু সংরক্ষণের জন্য হিমঘর ফাঁকা করা আবশ্যক হয়ে পড়েছে।