কলকাতা: নৌবাহিনীর মুচি থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক। গল্পের মতো উত্থান কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujaykrishna Bhadra) কাহিনী এখন ঘুরছে মুখে মুখে।
কালীঘাটের কাকুর গল্প ঠিক কীরকম ? নৌ বাহিনীর (Navy) ডি গ্রুপের (Group D) কর্মী থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হন কালীঘাটের কাকু। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (Central Investigating Agency) তদন্তে উঠে এসেছে সেই তথ্য। কীভা্বে তিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন? কাকু প্রথমে নৌ বাহিনীতে ছিলেন। সেখানে নাকি তাঁকে জুতো পালিশ করতে হয়। তাই সেই চাকরি তিনি ছেড়ে দেন। তারপর ছোটোখাটো কোম্পানিতে কাজ করতে করতে রাজনীতিতে (Politics) আসা। সেখান থেকে শুরু প্রোমোটিংয়ের ধান্দা। এমনটাই দাবি কাকুর ঘনিষ্ঠ মহলের। রাজনীতিতে আসার পর তাঁর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Bandyopadhyay) সঙ্গে সখ্যতা। অভিষেককে তিনি নিজের হাতে তৈরি করেছেন বলে এই কথা তিনি নিজেই বারবার দাবি করে এসেছেন। বিরোধী নেতারা বলছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র অভিষেকের কোম্পানিতে (Company) ডিরেক্টর (Director) পদে ছিলেন। যদিও সেই বিতর্কিত লিপস অ্যান্ড বাউন্ড কোম্পানিতে অনেক দিন আগেই তার মালিকানা ছেড়ে দিয়েছেন অভিষেক। এখানেই শেষ নয়। তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
লিপস অ্যান্ড বাউন্ড (Leaps and Bound) কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ছিলেন ২০১২ থেকে। ২০১৬ সালে ইস্তফা দেন। শুধু তাই নয় ২০১৭ সালে চিঠি দিয়ে কোম্পানি বন্ধের নির্দেশ। কেন ওই কোম্পানি বন্ধ করার দরকার পড়ল কাকুর? ইডির এই প্রশ্নে উত্তর দিতে পারেনি কাকু। ইডির নজরে সলিটায়ার প্লেসমেন্ট সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরও একটি কোম্পানি। যার এখনও ডিরেক্টর পদে আছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। যদিও সেই কোম্পানি এখন স্ট্রাইকঅফের প্রশেসিং চলছে। তা ছাড়াও আরও কয়েকটি কোম্পানির হদিশ পেয়েছে ইডি যার ডিরেক্টর পদে ছিলেন কাকু। কিন্তু তিনি এখন নেই। তবে ডিরেক্টর পদে থাকাকালীন লক্ষাধিক টাকার ট্রান্জাকশন হয়েছে সেই কোম্পানি থেকে। ইডির সন্দেহ সেখানেই কালো টাকা সাদা করেছেন কাকু। এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারার কারণেই গ্রেফতার হয়েছেন কাকু।