পড়ুয়াদের আন্দোলনের জেরে ফের উত্তপ্ত বিশ্বভারতী (visva bharati)৷ বুধবার পড়ুয়াদের সঙ্গে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের (security guard) ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১৪দিন ধরে গৃহবন্দি বিশ্বভারতীয় উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী অন্যত্র যাওয়ার জন্য বাসভবন ছেড়ে বেরোনোর সময়ে।
এদিন শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লির বাসভবন পূর্বিতা থেকে বেরোতে যান উপাচার্য। সেইসময়ে আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা উপাচার্যকে বাড়ি থেকে বেরোতে বাধা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, ওই পড়ুয়ারা উপাচার্যের গাড়ির সামনে বসে পড়েন। এর জেরে বিশ্বভারতীর নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে পড়ুয়াদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: Delhi University Class Time: ক্লাস হোক সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা, চাইছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়
এদিকে এই ঘটনার পরে আন্দোলনরত পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছেন, বিশ্বভারতীর (visva bharati) নিরাপত্তারক্ষীরা পুলিশের সামনেই তাঁদের মারধর করেছে। মারধর করা হয়েছে এক ছাত্রীকেও। পড়ুয়াদের আরও দাবি, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে পডুয়াদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। অন্যথায় তিনি বাসভবন ছেড়ে অন্যত্র যেতে পারবেন না।
মীনাক্ষী ভট্টাচার্য নামে আন্দোলনরত এক ছাত্রীর (student) অভিযোগ, তাঁকে ও তাঁর সতীর্থদের মারধর, হেনস্তা করেছে বিশ্বভারতীয় নিরাপত্তারক্ষীরা। কবিগুরুর বিশ্বভারতীতে এসব বরদাস্ত করা হবে না।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বেশ কিছু সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেখানকার পড়ুয়াদের একাংশ দীর্ঘদিন ধরেই সরব। এছাড়া বিশ্বভারতীয় উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরব অধ্যাপক-অধ্যাপিকা এবং আশ্রমিকদের একাংশও।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, উপাচার্যের নির্দেশে পড়ুয়াদের অভিভাবকদের চিঠি (letter) পাঠানো থেকে শুরু করে এক আন্দোলনকারী পড়ুয়ার পঠনপাঠন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এছাড়া এক ছাত্রীকে গবেষণাপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এদিন নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে এদিন পড়ুয়াদের (students) ধস্তাধস্তির পরে বিশ্বভারতীতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ (police)।