কলকাতা: শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষার ফল। তাতে মন মতো নম্বর না পেয়ে এক নাবালিকা পরীক্ষার্থী তার ছোট বোনকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালাল। পরে সে মুক্তপণ চেয়ে অপহরণের নাটকও করে। পরে পুলিশের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায়। বাঁশদ্রোণী থানা (Bansdroni PS) এলাকায় ওই নাবালিকার বাড়ি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধ্যমিকে নম্বর কম পেয়ে ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে পালাতে চেয়েছিল সে। মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরে বাঁশদ্রোনী এলাকার ওই নাবালিকা তার ৬ বছরের ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে স্কুটি চালিয়ে সাইবার কাফেতে (Cyber Café) যায়। সেখানে রেজাল্ট দেখতে যাবে বলে বার হয়। কিন্তু বেলা সাড়ে ১২টা বেজে গেলেও ফোন করে উত্তর না পেয়ে তাদের চিন্তিত বাবা মা পুলিশকে জানাবার সিদ্ধান্ত নেন। বাঁশদ্রোনী থানায় নিখোঁজ খবর আসার পর পুলিশ (Police) তৎপর হয়ে ওঠে। সেই স্কুটিটি পাওয়া যায় নিকটবর্তী একটি মেট্রো স্টেশনের (Metro Station) বাইরে।
জানা গিয়েছে, নাবালিকা ৩১% নম্বর পেয়েছে মাধ্যমিকে। অথচ সে পরীক্ষা দিয়ে এসে বাড়িতে জানিয়েছিল সে অন্তত তিনটি বিষয়ে লেটার পেতে চলেছে। ফলে প্রত্যাশা মতো নম্বর পায়নি সে। বেলা একটার পরে সেই নিখোঁজ নাবালিকার ফোন থেকেই তার বাবার ফোনে একটি মেসেজ আসে। যাতে দুই কন্যাকে ফেরত পাওয়ার জন্য এক কোটি টাকা মুক্তিপণ নিয়ে তাকে নেপালগঞ্জে আসতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: Egra Incident | এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে ভানু বাগের ছেলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করল সিআইডি
এরই মধ্যে পুলিশ বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে জানতে পারে নাবালিকাটি তার ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে কৃষ্ণনগর লোকাল ট্রেন ধরে কলকাতা ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এরপর জিআরপি (GRP) এবং কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়ে দুটির ছবি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ কৃষ্ণনগরের ডিভাইন নার্সিংহোমের সামনে মেয়ে দুটিকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। কলকাতা পুলিশের পাঠানো ছবি দেখে তাদের সেখানে সনাক্ত করে কৃষ্ণনগরের পুলিশ। তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাঁশদ্রোনী থানা থেকে একটি দল পরিবারের লোকেদের সঙ্গে নিয়ে রওনা হয়েছে কৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে।