নয়াদিল্লি: তথাকথিত উচ্চবর্ণের মানুষের জন্য শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সুপ্রিম-ছাড়পত্র মেলায় দুই রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বাড়তি অক্সিজেন পেল বিজেপি। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের ঠিক মুখেই এ সংক্রান্ত ১০৩-তম সংবিধান সংশোধনীটি পাশ হয়। তৎক্ষণাৎ সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে সরকার। কিন্তু, আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য সংরক্ষণ সংবিধানের মূল কাঠামোকে কোনওভাবেই লঙ্ঘন করছে না বলে সোমবার সংবিধান সংশোধনীকে বৈধ বলে মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, বেলা এম ত্রিবেদি, জেবি পরদিওয়ালা এবং এস রবীন্দ্র ভাটকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে এদিন একগুচ্ছ মামলা ৩-২ পক্ষে জিতে যায়। বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী, বেলা এম ত্রিবেদি, জেবি পরদিওয়ালা কোটার পক্ষে রায় দিলেও প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত এবং এস রবীন্দ্র ভাট বিপক্ষে মত প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: Jhalda Municipality Confidence Motion: ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের
রায়দানের সময় দীনেশ মাহেশ্বরী বলেন, আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য সংরক্ষণ সাম্যের বিধি ভঙ্গ করে না। এমনকী সংবিধানের অপরিহার্য অঙ্গ এবং ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়কেও ভঙ্গ করছে না। তিনি আরও বলেন, আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে সংরক্ষণ ভারতীয় সংবিধানের মূল কাঠামোর পরিপন্থী নয়। সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, এটা পিছিয়ে পড়া কোনও শ্রেণির মানুষকে সংরক্ষণের আওতাভুক্ত করা। ফলে এতে সংবিধানের মূল কাঠামোয় কোনও প্রভাব পড়বে না।
পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের এদিনের রায়ে হিমাচল প্রদেশ এবং গুজরাত বিধানসভা ভোটের মুখে বিরাট অক্সিজেন পেল বিজেপি। তফসিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর জাতির বাইরে আর্থিকভাবে দুর্বল সাধারণ ক্যাটেগরির মানুষকে ভোটবাক্সে পোরাটাই ছিল বিজেপির লক্ষ্য। ২০১৯ সালে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে বিধানসভা ভোটে হারার পরই এই সংবিধান সংশোধনী আনে বিজেপি।
কংগ্রেস সহ অধিকাংশ বিরোধী দলই এই আইনের বিরোধিতা করেনি। তাহলেও প্রায় ৪০টি আবেদন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলা শুরুর সময় এটা তিন সদস্যের বেঞ্চে ছিল। পরে তা পাঁচ সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হয়। প্রসঙ্গত, আগামিকাল, ৭ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিত।