কলকাতা: এবার রাজ্যের পুলিশি (Police) ব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনায় সরব হলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajasekher Mantha)। এক সিভিক ভলান্টিয়ারের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবার বিচারপতি বলেন, রাজ্যে পুলিশে নিয়োগ হচ্ছে না বলেই, সিভিক ভলান্টিয়া্রদের দিয়ে যাবতীয় কাজ করানো হচ্ছে। কনস্টেবল, এএসআই, এসআই নিয়োগ যতদিন না পর্যন্ত হবে ততদিন এদের দিয়েই কাজ চলবে। এই প্রসঙ্গেই বিচারপতি মান্থা আমতার আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনাও টেনে আনেন। তিনি বলেন, দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার ঘটনার রাতে আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিল। রাজ্য সরকার নিয়োগের ব্যাপারে যতদিন না উদ্যোগি হবে, ততদিন এই চুক্তিভিত্তিক লোকেদের দিয়েই নিচুতলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা চলবে।
সম্প্রতি সরশুনায় এক ব্যক্তিকে থানার সিভিক ভলান্টিয়াররা তুলে আনে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপর থেকে সেই ব্যক্তি নিখোঁজ। ঘটনার জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। সেই মামলাতেই বিচারপতি মান্থা সিভিক ভলান্টিয়াদের কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে, সে ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে বিজ্ঞপ্তি জারি করেতে নির্দেশ দেন। বলা হয়, কনস্টেবলদের যে সব কাজে ব্যবহার করা হয়, সেই সব কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ব্যবহার করা যাবে না। আদালতের নির্দেশ মেনেই ডিজি সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
আরও পড়ুন: C V Ananda Bose | এবার প্রেসিডেন্সিতে রাজ্যপাল, বিক্ষোভ এসএফআইয়ের
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর তৃণমূল সরকার ২০১২ সালে সিভিক পুলিশ নিয়োগে উদ্যোগ নেয়। পরে বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি ওঠায় পুলিশ শব্দটি বাদ দিয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার শব্দ জুড়ে দেওয়া হয়। এক লপ্তে এক লাখেরও বেশি সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয় রাজ্যে চুক্তির ভিত্তিতে। ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ ভিত্তিতে এই সিভিক ভলান্টিয়াদের নিয়োগ হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শাসকদলের সমর্থকদেরই সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। এক বছর আগে আমতার আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় সিভিক ভলান্টিয়াদের অত্যচার নিয়ে ফের বিতর্ক ওঠে।