কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকার (West Bengal Government) আগামী আর্থিক বছরের (Financial Year) জন্য বাজেট (Budget) প্রস্তাব পেশ করল। বাজেট ভাষণের মধ্যেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা হল। যে ঘোষণায় উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সদস্যদের। তবে ৩৫ শতাংশ বকেয়ার মধ্যে মাত্র ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা হওয়ায় যারপরনাই অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে কর্মচারীদের একাধিক সংগঠনকে। কোথাও খুশি, কোথাও দুঃখের কথা শোনা গিয়েছে ডিএ নিয়ে। কর্মচারীদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের চেয়ে ক্রমশ রাজ্য সরকারের কর্মীদের বেতনের সঙ্গে মহার্ঘভাতা যুক্ত হওয়ার ব্যবধান বেড়ে চলেছে। সেখানে এই ডিএ কিছুই নয়। তবে একেবারে কম পাওয়ার চেয়ে যা পাওয়া গেল তাতেই লাভ বলে খুশি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে অনেককে।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য এদিন ৩ শতাংশ ডিএ (Dearness Allowance) ঘোষণা হয়েছে। পেনশনভোগীদের জন্যও ৩ শতাংশ বৃদ্ধি কার্যকর হচ্ছে। আগামী মার্চ মাস থেকে তা কার্যকর হবে। বাজেট পেশের সময় বুধবার বিধানসভায় এমনই জানালেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তবে এখনও ডিএ বকেয়া থাকছে ৩২ শতাংশ।
ডিএ-র (DA) দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একটি সংগঠন অনশনে বসেছে। ডিএ না পেলে আগামী পঞ্চায়েত ভোটে কাজ করবেন না বলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছেন কর্মচারীরা। তারই মধ্যে এই ডিএ ঘোষণা হল। এই ডিএ ঘোষণায় সরকারি কর্মীদের মধ্যে উল্লাস দেখা দেয়। এদিকে ডিএ ঘোষণা হওযায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন বিধানসভা চত্বরে আবির খেলা শুরু করে। একটি শিক্ষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডলের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সরকার আজ ৩% ডিএ ঘোষণা করেছে। আমরা এতে সন্তুষ্ট নয়। আমাদের লাগাতার আন্দোলন চলবে। আগামী ১৭ তারিখে ডিএ আন্দোলন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করবে। এটা মরুভূমিতে এক ফোঁটা জলের মতো।
এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) রাজ্য বাজেটের সমালোচনা (Criticism) করে বলেন, এই বাজেটে ফুটে উঠেছে রাজ্যের আর্থিক দেউলিয়াপনা। মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্টে মামলা আছে। কোর্টের থেকে বাঁচার জন্য এই ডিএ ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রীকে দিয়ে স্লিপ পাঠিয়ে ডিএ ঘোষণা করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister)। মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের সংস্থান নেই বাজেটে। এই ঘোষণার সঙ্গে আন্তরিকতার কোনও যোগ নেই।