বসিরহাট: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে শাসকদল তৃণমূলে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা জেলায়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর ব্লকে শারাফুল নির্মাণ গ্রাম পঞ্চায়েতের সারাবুল ডাকবাংলো প্রাইমারি স্কুলে তৃণমূলের বুথ কমিটির (TMC Booth Committee) সভা ঘিরে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা বাঁধে। মারধরের এই ঘটনায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল ও স্বরূপনগর উত্তর ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমানের মধ্যে কমিটি গঠন করা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাঁধে। রাতের অন্ধকারে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ (Clash) হয়।
আরও পড়ুন: Exclusive: ‘গ্রামে করো রাত্রিবাস,’ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নয়া কর্মসূচি
জানা গিয়েছে, সংঘর্ষ এতটাই চরম আকার ধারণ করে যে বাদুড়িয়া এইচডিপিও (Baduria HDPO) অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্রের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে সেই গন্ডগোল থামায়। ঝামেলা ও সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ করে স্লোগান (Slogan) দিতে শুরু করে দুই পক্ষই। ঘটনার জেরে কিছুক্ষণের জন্য ওই এলাকা কার্যত বন্ধের চেহারা নেয়। লোকজন যে যার মতো ঘরবন্দি হয়ে যান। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (Innerclash) এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে বসিরহাট জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে, দুই পক্ষকে ডেকে এক জায়গায় বসে ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই দিনক্ষণ ঘোষণা হবে নির্বাচনের। শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির (Corruption) অভিযোগকে ঘিরে দল এমনিতেই নাজেহাল। তার উপর তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটছে, যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছে তৃণমূল। কারণ, নির্বাচনী প্রচারে (Election Campaign) বিরোধীরা এটাকে হাতিয়ার করে প্রচার চালাতে পারে। এদিকে, ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্ব আগামী ২ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে (Netaji Inodre) রাজ্যের প্রশাসনিক বৈঠক (Administrative Meeting) ডেকেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Chief Minister Mamata Banerjee) নির্দেশে সেই বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সমস্ত পঞ্চায়েতকেই বৈঠকে ডাকা হয়েছে। দুর্নীতি ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে দলনেত্রী কী নির্দেশ দেন, তার অপেক্ষায় রয়েছে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস।