হাওড়ার বাঁকড়া থেকে ধৃত দুই জঙ্গিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে হাওড়া আদালতে পেশ করা হল। গত ২৯ সেপ্টেম্বর জহিরুদ্দিন আলি এবং জয়নাল আবেদিন নামের ওই দুই জঙ্গিকে হাওড়া আদালতে নিয়ে আসে কলকাতা পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা (এসটিএফ)। ধৃতদের বিরুদ্ধে ডোমজুড় থানায় যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল সেই মামলার হাজিরা দিতেই তাদের নিয়ে আসে এসটিএফ দল। দুজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি, ১২১, ১২১এ, ১২৪এ, ১২৫, ৪৬৮, ৪৭১, ১৬, ১৭, ১৮বি, ১৯, ২০ এবং ৩৮ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হাওড়ার বাঁকড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার হওয়া দুই জঙ্গিকে জেরা করে আরও দুই জঙ্গির সন্ধান পায় রাজ্য এসটিএফের দল। নির্দিষ্ট সূত্র ধরে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে জহিরুদ্দিন ও জয়নালকে গ্রেফতার করা হয়। ভোপাল পুলিশের সহায়তায় ২৯ সেপ্টেম্বর তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে রাজ্যে নিয়ে আসা হয়। এই দুই জঙ্গি ভুয়ো নাম ব্যবহার করে থাকত বলে জানা গেছে। তদন্তে নেমে এসটিএফ জানতে পারে, তারা দুজন ডোমজুড় থানা এলাকায় ঘর ভাড়া করে রয়েছে। কিন্তু সন্ধান করতেই জানা যায়, মধ্যপ্রদেশের ভোপালে পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। আবারও নাম বদল করে তারা। জহিরুদ্দিন আলি কখনও মোহন পাত্র, কখনও হলিউল্লা মিলন, কখনও ইব্রাহিম এবং জয়নাল আবেদিন আক্রামুল হক নাম নিয়েছিল। তাতে লাভ হয়নি।
দুজনের বিরুদ্ধে ভারত-বিরোধী সন্ত্রাসমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ইউএপিএ আইন অনুযায়ী মামলা চলছে। ডোমজুড় মামলায় মোট চারজন অভিযুক্ত ছিল। যার মধ্যে একজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়, একজন পলাতক। মঙ্গলবার আদালতে দুজনকে পেশ করা হলে বিচারক ধৃতদের ১২ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দেন।